তাইওয়ান সীমান্তে সারি সারি চীনা সাঁজোয়া যান

তাইওয়ান সীমান্তে সারি সারি চীনা সাঁজোয়া যান

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে এসেছেন। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উত্তেজনা। এর মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে সীমান্তের কাছে বাড়ছে সাঁজোয়া গাড়ি এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের সম্ভার।

টুইটারে ‘ইয়িন সুরা’ নামক একটি হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চিনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় সারি সারি ট্যাঙ্ক পেরিয়ে যাচ্ছে। আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছনোর দিন সন্ধ্যাতেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী নিয়ে জমায়েত করতে শুরু করেছে চীন।

চীনের হুমকি অগ্রাহ্য করে মঙ্গলবার তাইওয়ান পৌঁছেছেন পেলোসি। বেজিং সতর্ক করেছিল যে পেলোসির সফরের পরিণতি ‘খুব গুরুতর’ হবে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িংয়ের দাবি, পেলোসি কোনও ব্যক্তিগত কাজে তাইওয়ান যাননি এবং আমেরিকা যদি হস্তক্ষেপ করা বন্ধ না করে তা হলে চীন ‘বৈধ ভাবে যে কোনও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত’। পেলোসির সফর চীনা নীতির পরিপন্থী হবে বলেও শি জিনপিং সরকার দাবি করেছে।

চীনা হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরপত্তার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে আমেরিকার যুদ্ধবিমানের বহরও ঢুকে পড়েছে।

পেলোসির তাইওয়ান সফর কূটনৈতিক এবং সামরিক দিয়ে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এই প্রথম আমেরিকার কোনও শীর্যস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা তাইওয়ান সফরে গেলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.