দ্বিতীয়বারের মতো ভেনামি প্রজাতির পরীক্ষামূলক চিংড়ি চাষে সাফল্য পাচ্ছেন খুলনার চাষিরা। চলতি বছর এ চিংড়ির হেক্টর প্রতি উৎপাদন ১২ টন হতে পারে। গেল বছরের তুলনায় যা দুই টনের মতো বেশি।
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনার পাইকগাছা লবণ পানি কেন্দ্রে প্রথম দফায় ভেনামি আহরণ করা হয়।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, ফ্রজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আমিনুল্ল্যাহ, সাবেক সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এস হুমায়ূন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন যশোরের এমইউ সি ফুডস লিমিটেড প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দ্বিতীয় দফায় ভেনামি চাষে সাফল্য পাওয়ায় এ প্রজাতির চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষে সরকারের অনুমোদনের আশা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস হুমায়ূন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্বিতীয় দফায় ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষে খুলনায় সাফল্য মিলেছে। এবার গেল বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন দুই টনের মতো বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে এবার হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ১২ টনের মতো। কম খরচে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে (সেমি ইনসেনটিভ) খুলনায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক চাষে চার একর জমিতে এ প্রজাতির চিংড়ি চাষে ১৪ হাজার কেজির মতো উৎপাদন হয়। এ বছর ছয়টি পুকুরে ২ দশমিক ৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় ভেনামির বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি প্রয়োজন।
বাংলাদেশে প্রথম ভেনামি প্রজাতির চিংড়িচাষি, রপ্তানিকারক এম ইউ সি ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, প্রথম বছরের তুলনায় এবারে চাষ কিছুটা সহজ ছিল। চিংড়ির উৎপাদনও ভালো। বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদন পেলে চাষি ও রপ্তানিকারকরা লাভবান হবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাষপদ্ধতি ও উৎপাদন দেখেছি। এ প্রজাতির চিংড়ি চাষ পর্যবেক্ষণের জন্য কারিগরি কমিটি রয়েছে। কমিটি ভেনামির পরিবেশগত, অর্থনৈতিকসহ পারিপার্শ্বিক বিষয় দেখে মতামত দেবে। এর ওপরই বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদন নির্ভর করবে। ’