এশিয়া কাপের সূচি প্রকাশের পরই আফগানিস্তানকে নিয়ে ‘ভয়’ ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে এক রকম প্রচ্ছন্ন বার্তাও যেন দিয়ে রেখেছিল আফগানরা।
যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না।’ তবে শারজায় ভুল, ভয় আর দ্বিধায় আফগানদের কাছে ঠিকই হার মানতে হলো বাংলাদেশকে।
শারজায় গত রাতে কিঞ্চিৎ আশা জাগালেও দুই জাদরান—নাজিবুল্লাহ ও ইব্রাহিমের ব্যাটে খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের পুরোনো রোগ কালও সারানো যায়নি।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট আর ৫৩ রানে ‘হাফ অ্যা সাইড’ ডাগআউটমুখী হওয়ার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন। কিন্তু ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বাঁচানো যায়নি।
মোসাদ্দেক ক্যারিয়ার-সেরা ৪৮ রানের ইনিংস না খেললে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন অঙ্ক ছোঁয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াত। মোসাদ্দেককে প্রশংসায় ভাসালেও বাকিরা অবদান রাখতে না পারায় হতাশ সাকিব, ‘শুধু মোসাদ্দেক তার কাজটা করেছে। ব্যাটারদের কাছ থেকে আমরা এটিই আশা করে থাকি। টি-টোয়েন্টিতে যে-ই শুরু পাবে, তাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন পুরো ইনিংস খেলতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত এটি যথেষ্ট ছিল না। আমাদের আরও কয়েকজনের অবদান প্রয়োজন ছিল। সেটা হয়নি।’
১৭ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন নাজিবুল্লাহ। বিপিএলে নিয়মিত খেলা আফগান ব্যাটারের সামর্থ্য ভালো করেই জানা সাকিবের। ম্যাচ শেষে বললেও সেটাও, ‘আমরা জানি নাজিবউল্লাহ ভয়ংকর খেলোয়াড়। শেষ ৬ ওভারে ওদের ৬০ রানের বেশি দরকার ছিল। এমন উইকেটে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচটি আমাদের হাতে আছে। কিন্তু নাজিবুল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে।’