স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছেন। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে ম্যাক্স রাজু নামে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সম্পর্কের কথা জানান হিরো আলম। এবার সেই ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন হিরো আলম।
শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর মিয়া শিশু মেলা পার্কে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়, অথচ আমার স্ত্রী রিয়া মনি বাবার কাছে না এসে ম্যাক্স রাজুর সঙ্গে ড্যান্স ভিডিও বানায়। এই মেয়েকে নিয়ে কি সংসার করা যায়? তাই আমি রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছি। এই রিয়া মনির কারণে আমার সংসার, যে মেয়ে আমার বাবার দেখাশোনা করেছে-সেই মিতির সংসার ও মাক্স রাজুর স্ত্রী ইতির সংসার ভেঙে গেছে। এই সময় ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি বলেন, আমার স্বামীর নাম মুখে নিতে আমার ঘেন্না লাগে। রিয়া মনিকে ধন্যবাদ, কারণ আমার জীবন থেকে আমার স্বামীর মতো বাজে লোককে নিয়ে গেছেন।
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম। এরআগে ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। সেই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে ও আবির নামে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে তার। ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে ডেব্যু হয় হিরো আলমের।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। ওই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছড়ির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Discussion about this post