শেখ মামুনুর রশীদ মামুন:- ৫ লাখ টাকায় কী মেলে? চর ঈশ্বরদিয়ায় মেলে নামজারী! তাহলে প্রশ্ন—আইনের চোখ কি অন্ধ? প্রশাসনের কান কি বধির? নাকি এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ঘুষই এখন একমাত্র সত্য? ময়মনসিংহ সদরের চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস যেন রীতিমতো দুর্নীতির দুর্গ! একটার পর একটা ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এলেও, নেই কোনো তদন্ত, নেই কোনো বিচার! তাহলে জবাবদিহিতা কোথায়? ঘুষে বিক্রি হচ্ছে ন্যায়বিচার, আর ঘুষখোর কর্মকর্তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! জনগণ আজ জানতে চায়—দুর্নীতির পুরস্কার কি বদলি? এ কেমন ব্যবস্থা? ঘুষে বেচা নামজারী! চর ঈশ্বরদিয়ার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়ংকর অভিযোগ—৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিতর্কিত একটি নামজারী মঞ্জুর, ন্যায় বিচারকে উপহাস করার ঘৃণ্য চেষ্টা! শুধু তাই নয়, স্থানীয় নারী মোছাঃ মনোয়ারা বেগমের জবানিতে উঠে এসেছে বিস্ময়কর তথ্য— নামজারীতে তাকেও বলা হয়, ৩ লাখ টাকা ঘুষ দিতে ! ঘুষ না দেওয়ায় আজও হয়নি তার কাজ! এ কেমন প্রশাসন? কে দেখছে এসব? শুধু তাই নয়—তারা নাকি ভূমি কর আদায়ে বাধা সৃষ্টি করেছেন, এমনকি বিচারাধীন মামলার তথ্য গোপনের মতো গুরুতর অপরাধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে! চর ঈশ্বরদিয়ার মানুষ আজ বিস্ময়ে হতবাক, ক্ষোভে ফুঁসছে। অবশেষে প্রতিক্রিয়া এসেছে—তবে সেটা কি শাস্তি, না পুরস্কার? দুই কর্মকর্তাকে আশ পাশের এলাকায় বদলি করে দায় সারা হয়েছে। শরিফুল গেছেন গৌরিপুরের অচিন্তপুরে, মাহবুবুর গেছেন মুক্তাগাছার খেওরাজানিতে। প্রশ্ন জাগে—এটাই কি প্রশাসনের “দৃঢ় অবস্থান” দুর্নীতির বিরুদ্ধে? বদলি কোনো শাস্তি নয়—এটা শুধু অন্য জায়গায় গিয়ে ঘুষের ফেরি বসানোর লাইসেন্স! জনগণ আজ জানতে চায়—কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নয়? কেন তদন্ত নেই, বিচার নেই? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়া এই দুর্বৃত্তায়ন থামবে না। দেশজুড়ে যখন দুর্নীতি রুখতে অভিযান চলছে, তখন চর ঈশ্বরদিয়ার মতো স্থানে এমন অপকর্মকারীরা যদি পার পেয়ে যায়, তবে সেটা কিসের বার্তা দেয়? ভূমি অফিসে ন্যায় বিচার নয়, এখন ঘুষই কি শেষ কথা? সচেতন মহল বলছে—এদের কঠিন শাস্তি দিন, আইনের মুখোমুখি দাঁড় করান। না হলে এই অপশক্তির দুঃসাহস বাড়তেই থাকবে, আর ভুক্তভোগী মানুষ হারাবে বিচার ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা। চর ঈশ্বরদিয়া জেগে উঠেছে—এখন পালা প্রশাসনের জবাবদিহিতার!
Discussion about this post