চট্টগ্রাম থেকে সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার আলতাফ মাহমুদ : চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, এই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ঘুষ গ্রহণ, আর্থিক অনিয়ম সহ অধঃস্থনদের ওপর আক্রোশমূলক নির্যাতন রাখায় গোটা বন বিভাগ অশান্ত হয়ে উঠেছে।
এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিআরএল এ যাওয়া কর্মচারীদের এককালীন বেতন ও পেনশন পাওয়ার বিষয়ে ঘুষ না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন অযুহাতে তাহাদের ফাইল ২/৩ মাস ঘুরানোর মাধ্যমে হয়রানি করে থাকেন। বন প্রহরী সহ বেশ কয়েকজন বন কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ফাইলে সই করেছেন।
পিআরএল এ যাওয়া ফরেস্টার ঘুষ না দেওয়ায় তার পেনসন না পেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং অসুস্থ্যাবস্থায় বেশ কয়েকবার বেতন ও পেনশন পাবার জন্য ডিএফও এর সাথে সাক্ষাত করেও বিফল হন। কিন্তু অদ্যাবধি তার পেনশনের কোন সুরাহা করেননি।
আবার স’মিল মালিকদের নিকট থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ গ্রহন করতে না পেরে স’মিলের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে হয়রানি করে আসছেন। ডিএফও’র এহেন স্বেচ্ছাচারিতা ও ঘুষ লিপ্সার কারনে অধ:স্থন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের চলছে হরিলুট। খোদ ফরেস্ট রেঞ্জারের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহর রেঞ্জার মোঃ মনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বন দিবারাত্রি উজাড় হলেও দেখার কেউ নেই। দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী রেঞ্জ কর্মকর্তার অর্থলিপ্সতার কারণে সংরক্ষিত বন নির্বিচারে উজাড় হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় এই রেঞ্জের অধীনস্থ বীট সমূহের আওতাধীন রিজার্ভ ফরেস্ট সমূহ থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে বৃক্ষনিধন অব্যাহত থাকলে অচিরেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই এই রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে কয়েকটি ট্রাক সেগুন কাঠ ভর্তি করে পাচার হচ্ছে। বিনিময় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন যোগদানের পর কয়েক কোটি টাকা অবৈধ উপার্জন করে বনজ সম্পদ উজাড়, পাচারসহ সুফল প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছেন। এই সকল অবৈধ উপার্জনের বেশিরভাগ টাকায় তিনি বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
(দেশব্যাপি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখোশ উম্মোচন করতে আমাদের প্রতিবেদকগণ বদ্ধ পরিকর- আগামীতে এ ব্যাপারে আরো জানাতে আমাদের সাথেই থাকুন)।
Discussion about this post