দুটো কিডনি ড্যামেজ হওয়া মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার এম এ রশীদের শেষ সম্বল বসতবাড়ি অধিগ্রহণ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকার শাজাহানপুরে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগরী।
এতে নগরীর সদ্য সাবেক সহকারী কমান্ডার মো. আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগরীর সাবেক কমান্ডার মো. গোলাম হোসেন, সাবেক ডিপুটি কমান্ডার সফিকুর রহমান, শহীদ ক্যান্টমেন্ট থানা কমান্ডার মো. আবুল হাসেম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার এম এ রশীদের সহধর্মিণী পারভীন রশীদ, সফিকুল ইসলাম গোলাপ, নাদিম উদ্দিন গেরিলা, মুক্তিযোদ্বার সন্তান সংগঠনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুর রশীদ মন্ডল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাতাল মেট্রোরেল যাবে বিমানবন্দর থেকে মৌচাক-মালিবাগ-রাজারবাগ-শহীদবাগ হয়ে কমলাপুর। কিন্তু কোনো প্রভাবশালী মহল থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য লাইন থেকে একহাজার ফুট দূরে দক্ষিণ শাজাহানপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ রশীদের শেষ সম্বল তার বসতবাড়ি অধিগ্রহণ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এম এ রশীদ বঙ্গবন্ধুর নিকট অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা রশীদের দুটো কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।
ইতোপূর্বেও রশীদের অনেক সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই নেই। এটার ওপরে তার চিকিৎসা ছেলেমেয়ের লেখাপড়া নির্ভর করে। মানবিক কারণে অধিগ্রহণ না করার জন্য ঢাকার ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং বলেন- যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করে দিচ্ছে সেখানে কেন সহায় সম্বলহীন কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি অধিগ্রহণ করার ষড়যন্ত্র করছে। তদন্ত করে রহস্য বের করার আহ্বান জানান তারা।
Discussion about this post