ঝিনাইদহ বিশেষ প্রতিনিধি-মোঃ ফজলুল কবির গামা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বামীর দেওয়া স্ট্যাটাসে নিখোঁজ জুঁই মোবাইলে যোগাযোগ করেছেন তার বর্তমান স্বামী নোমানের সাথে। জুঁই জানিয়েছে নিরাপদেই আছে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে। তবে জুঁই আর নোমানকে বধুর অধিকার দিতে চায়না। সে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর জন্য ঠিকানা চেয়েছে নোমানের কাছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়া বাড়ীয়ার বাবার বাড়ি থেকে কসমেটিক কেনার উদ্দেশ্যে বের হয় জুঁই। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জুঁইয়ের মা তার জামায় নোমানকে জানান। এ খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রী কে খুঁজে পেতে স্ট্যাটাস দেয় জুঁইয়ের স্বামী নোমান। এঘটনার পর নোমান থানায় জিডি করার পরামর্শ দিলে শাশুড়ি জামায়কে ছাপ জানিয়ে দেন, আমার থেকে তোমার দরদ বেশি না!
তিনি আরো জানান, তুমি চুপ হয়ে যাও, আর তা না পারলে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেও। তাও যদি না পারো, তবে জুঁই তোমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবে। ঘটনার বিবরণ তুলে এমনটিই অভিযোগ করে জুঁইয়ের স্বামী নোমান সাংবাদিকদের জানান।
জানা গেছে, গত ১৩ই জানুয়ারি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে জুঁইয়ের সাথে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে একটি শপথ নামা লিপিবদ্ধের মধ্য দিয়ে যশোরের নোমানের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন দিন পর জুঁই কে তার বাবার বাড়িতে রেখে নোমান কর্মস্থলে চলে যায়। জুঁই কুমড়া বাড়ীয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী উসমানের মেয়ে।
এর আগে জুঁই কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ৫ দিন ৭ দিন করে বিয়ের সম্পর্কের দাবিতে থেকে এসেছে বলে পরে জানতে পেরেছে নোমান। তবুও প্রথম প্রেম ভুলতে না পেরে জুঁইকে স্ত্রীর আসনে আসীন রেখেছেন নোমান। এছাড়াও নোমানের সাথে বিয়ের পর ঢাকায় এক বন্ধুর বাসায় তিন দিন থেকে এসেছে জুঁই। সেই তিন দিন বন্ধুর সাথে কি ঘটেছে তার ছবি ও নোমানের কাছে জুঁইয়ের দেওয়া অসামাজিক কার্যকলাপের স্বীকারোক্তির অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও নোমানের হেফাজতে নেওয়া জুঁইয়ের ব্যবহৃত স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন বয় ফ্রেন্ডের পাঠানো কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানান নোমান।
তবে এতকিছু জানার পরও নোমানের কাছে বার বার ভালো হতে সুযোগ পেয়েছে জুঁই। কিন্তু চোরাই শোনেনা ধর্মের বাণী। গত ৪ এপ্রিল নোমানকে ছেড়ে আবারো নতুন এক প্রেমিকের গলায় ঝুলতে গেছেন জুই। প্রেমিককে পাশে রেখেই বাড়ি থেকে হারানোর ১১দিনের মাথায় নোমানকে ফোন দিয়েছে জুঁই। সেসময় তিনি ভালো আছেন এবং ডিভোর্স লেটার পাঠানোর ঠিকানা চেয়েছেন নোমানের কাছে। তবে এসব কিছু জুঁই তার মায়ের সাথে যোগাযোগ রেখেই করেন বলে ধারণা করছেন নোমান।
নোমানের এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে গেলে জুঁই এর পরিবার থেকে জানানো হয় স্বামীর কাছে যাওয়ার কথা বলেই বাড়ি থেকে বের হয়েছে জুঁই। গত ১০দিন নিখোঁজ থাকার পরও থানায় জিডি করেছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জুঁই এর মা বলেন, আত্নীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েছি কিন্ত জিডি করা হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ বা জিডি করতে আসেনি। পুলিশের সহযোগিতা চাইলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post