আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- কথিত চাঁদাবাজির মামলায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার হযরত ওসমান গণি (রাঃ) ক্বওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ থানামোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ওলামায়ে কেরামগণ। আয়োজকরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সিধুলী-পোয়ালশুড়া-চলনালী গ্রামের হযরত ওসমান গণি (রাঃ) ক্বওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য রশিদের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাদেরকে থানায় ডেকে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। তারপর তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মুক্তির দাবীতে সংশ্লিষ্ট কয়েক গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ৩ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে থানার সামনে পথসভায় মিলিত হন। মাদ্রাসা কমিটির পক্ষে শিক্ষানবীশ আইনজীবি জার্জিস আহম্মেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাও. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি মুফতি আব্দুল আহাদ ও সদস্য সচিব ফরিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহব্বায়ক মুকিত আহম্মেদ ও সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম রাব্বি, ইসলামী আন্দোলন গুরুদাসপুর শাখার সভাপতি মাও. ওমর ফারুক প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, সিধুলী মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারে রশিদ দিয়ে টাকা সংগ্রহ করত মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। সেই টাকাও খেতে চান একটি দলের নেতা। এরা ফ্যাসিবাদের চাইতেও বড় ফ্যাসিবাদ। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহম্মেদ চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
Discussion about this post