সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নফাঁস ও কোটা আন্দোলন নিয়ে পোস্ট দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় ক্যারিয়ারবিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল।
এবার সুশান্তের সেই পোস্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাশেদ এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট দেন।
পোস্টে রাশেদ বলেন, ‘সুশান্ত পাল এখন সরকারি কর্মকর্তা। সরকার কোটার পক্ষে। আর তিনি সরকারের লোক হয়ে কোটার বিপক্ষে পোস্ট করে কি তার চাকরি হারাবেন? আপনি বরং তার কাছে কোটার বিপক্ষে অবস্থান দাবি করেই ভুল করছেন। আর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও তিনি খুব ঝামেলায় আছেন। এই সুযোগে কোটার বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে কোটার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি সরকারের আনুকূল্য পেয়ে দুর্নীতির চাপ থেকেও কিছুটা বাঁচতে চান। একটা মানুষের বাঁচার আবদার নিয়ে এত ঠাট্টা মশকরা কেন করেন? তাকে বাঁচতে দেন।’
পোস্টে রাশেদ আরও বলেন, ‘আর হ্যাঁ! সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অনেকদিন ভাইরাল হতে পারছেন না। তিনি জানেন, ভালোকিছু বললে ভাইরাল হতে পারবেন না। তাই এমনকিছু বলেছেন যে, তিনি আবার আলোচনার বিষয়বস্তু।’
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, ‘এই জনগণ ভালো মানুষের থেকে ভাইরাল মানুষকে বেশি মূল্যায়ন করেন। তাই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই ভাইরাল হলেন!’
এর আগে শুক্রবার (১২ জুলাই) সুশান্ত ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।) এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই।’
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।’
পোস্টের শেষে তিনি সুশান্ত পাল বলেন, ‘আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুশান্ত পাল আবার লিখেছেন, ‘এখানে যারা উলটাপালটা কমেন্ট করছ এত সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার পরও, তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না—কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাস করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না।’
Discussion about this post