স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে নীলগাই, ম্যাকাও পাখি ও আফ্রিকান লেমুর প্রাণী চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ফলে বর্তমানে এই সাফারি পার্কটি লেমুর প্রাণী শূন্য। দেশের আর কোন সাফারি পার্কেও এ বিলুপ্ত প্রাণীটি নেই।
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আফ্রিকান লেমুর প্রাণীসহ বিভিন্ন প্রাণী চুরির ঘটনায় পার্কের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বদলি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। তবে পার্কে চুরির ঘটনায় অথবা দায়িত্বে অবহেলার কারণে নয়, এটি বদলির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে তিনি জানান। পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার মো. আনিছুর রহমানকে রাজশাহী, ফরেস্টার মো. হারুন অর রশিদকে চট্টগ্রাম এবং জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট মামুনকে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে সাফারি পার্কের লেমুর চুরির ঘটনার পর বুধবার পার্ক পরিদর্শন করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি একটা হরিণের কথা বলতে পারেন। বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে এলে মানুষ তা ধরে খেয়ে ফেলেছে। সেটা এক বিষয়, কিন্তু লেমুরের মতো এমন একটা প্রজাতি প্রাণী কী জন্য নিখোঁজ হয়ে যাবে? কেন হারিয়ে গেল? সেটার সঙ্গে যারা প্রহরায় ছিল তাদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছে? এটা অবশ্যই দেখতে হবে।
তিনি বলেন, বারবার যেখানে এমন দুর্লভ প্রাণীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, সেই জায়গাগুলোতে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছে না? সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে কত টাকা লাগবে? এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাকে দেখতে হবে। আমি মনে করি, এখানে যেভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল, সেভাবে পালন করা হয়নি। আর এ রকম দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে গেলে ১৪ দিন পর মামলা করে অনুসন্ধান শুরু করলে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে। এখানে যে সংগঠিত অপরাধ চক্র রয়েছে, এটা কিন্তু প্রমাণিত। চক্রটি কী করে ধরা যায়, সে কাজটিও করা হচ্ছে। কী করে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিহত করা যায়, তা দেখা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি অপরাধ বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
Discussion about this post