স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গাজীপুরের সাফারি পার্কে জরাজীর্ণ অবস্থা থাকবে না। এই পার্কটি জরাজীর্ণ অবস্থা কেন থাকবে? আমরা অতি দ্রুত জরাজীর্ণ স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে এই পার্কের পরিবেশ সুন্দর করবো। আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কে বিভিন্ন প্রাণী বেষ্টনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিরল প্রজাতির যেসব বন্য প্রাণী আমরা এখানে এনে রেখেছি সেগুলো হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। একই জায়গা থেকে যখন ময়না পাখি, টিয়া পাখি চুরি হয় না, কিন্তু লেমুর যখন চুরি হয় তখন বুঝতে হবে এখানে কোনো একটা সমস্যা আছে। সে সমস্যাটা আমরা চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এই সাফারি পার্কের ব্যবস্থাপনাটাকে আরো অনেক উন্নতকরণ, প্রাণীবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, পার্কের কোন প্রাণী চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে দেওয়া হয়নি। সকল প্রাণীগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। এই পার্কটি আমি ঘুরে দেখে সামগ্রিক অভিজ্ঞতাটা ইতিবাচক হলো। কিন্তু তিনটি জায়গায় আমার সত্যিই খারাপ লেগেছে। একটি হলো যেখানে হাতিগুলো রাখা হয়েছে সেটা, আরেকটা যেখান থেকে লেমুর তিনটি চুরি হয়ে গেল এখনও খুঁজে পাচ্ছি না। আরেকটা হলো দুটি জাগুয়ার দেখলাম সেটা দেখে। এখানে আমার মনে হয়েছে, একটা সাফারি পার্কে যারা আসবে, তারা প্রাণীকে দেখে প্রাণীকে ভালোবাসবে। ভালোবাসাটা জাগানোর জন্যই সাফারি পার্কের আয়োজন। তা না হলে তো চিড়িয়াখানার পর আর সাফারি পার্কের প্রয়োজন ছিল না। এর আগে উপদেষ্টা কোর সাফারি পার্ক, সাফারি কিংডমসহ বিভিন্ন প্রাণী বেষ্টনী ঘুরে দেখেন। ওই সময় পার্কটির কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. চৈৗধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন প্রমুখ।
Discussion about this post