মামুনুর রশীদ মামুন: সাংবাদিকতা হচ্ছে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর এক অদম্য যুদ্ধ। তবে, এই পথে যখন সংবাদ পক্ষে গেলে তাকে প্রশংসা করা হয়, বিপক্ষে গেলে তখন আপনি হয়ে যান বিদ্বেষের শিকার। এটাই হলো আমাদের সাংবাদিকতার বাস্তবতা। বিশেষ করে গ্রামে, যেখানে অসচেতনতা, ছোট মন-মানসিকতা, আর মূর্খতা এমনভাবে বিস্তৃত যে, একজন সাংবাদিকের কষ্টের কোনো শেষ থাকে না।
কখনো কখনো সত্য বলার জন্য সাংবাদিকদেরকে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়—হয় অপমান, হয় নির্যাতন। বিশেষ করে গ্রামের কিছু মানুষ, যারা মূর্খতা আর বর্বরতায় ডুবে থাকে, তারা সহজেই একজন সচেতন, পরিশ্রমী, মেধাবী সাংবাদিককে হেয় করে দেয়। তাদের কাছে একেবারে অযথা অপমানিত হতে হয়, কখনো কখনো শারীরিক আঘাতেরও শিকার হতে হয়।
এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠতে পারে, এই অবস্থা থেকে মুক্তি কীভাবে সম্ভব? গ্রামে জনগণের সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা বিস্তার, এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা—এগুলোই মূল হাতিয়ার। গ্রামের মানুষকে বুঝাতে হবে, একজন সাংবাদিক সমাজের এক চোখ, এক কন্ঠ। তাদের কাজের মূল্য কেবল সংবাদ প্রকাশ নয়, বরং সমাজে পরিবর্তন আনা, সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করা।
যতদিন এই বর্বরতা আর মূর্খতা সমাজে বিদ্যমান থাকবে, ততদিন সাংবাদিকতা একটি কঠিন, বিপজ্জনক পেশা। কিন্তু এরই মধ্যে, সচেতন সমাজ তৈরি হলে, পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। সাংবাদিকরা যদি সত্য প্রকাশের পথ অবলম্বন করেন, তবে একদিন তাদের অবদান স্বীকৃত হবে, এবং সমাজে পরিবর্তন আসবে।
তবে, এই পরিবর্তন সাধনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধু সাংবাদিকদের নয়, আমাদের সকলের উচিত সচেতন হয়ে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো। কারণ, সাংবাদিকতার মূল কাজ, সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা—এতেই আমাদের সকলের জয়।
Discussion about this post