নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের মতো প্রান্তিক শহরে যখন দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত হয়, তখন তা পুরো সমাজের জন্য এক গভীর সংকেত হয়ে দাঁড়ায়। দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষেরই অধিকার, সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চলা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কিছু নামধারী ফেসবুক সাংবাদিক এবং হলুদ সাংবাদিকের গোষ্ঠী কখনও কখনও সত্যের সঙ্গে এক প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা দুর্নীতিবাজদের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে থাকে, যা সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যকে বিকৃত করে ফেলে।
এরা সংবাদে সত্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে এবং কখনো কখনো তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায়, অথবা অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে প্রকৃত তথ্যের ওপর অন্ধকার ছড়িয়ে দেয়। এগুলোর মধ্যে বিশেষ করে কিছু ফেসবুক সাংবাদিক, যারা নিজেদেরকে ‘অধিকারকর্মী’ হিসেবে উপস্থাপন করে, প্রকৃত সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজ করে থাকে।
দুর্নীতিবাজদের পক্ষে তাদের তৎপরতা কেবল সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতার পক্ষে এক মারাত্মক আঘাত নয়, বরং রাষ্ট্রের শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং জনগণের অধিকারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। যখন জনগণ সঠিক তথ্য জানবে না, তাদের পক্ষ থেকে সঠিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে না। তখন দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়বে।
এখানে আমাদের একটাই প্রশ্ন দাঁড়িয়ে যায়: দেশের গণমাধ্যম কীভাবে মুক্ত এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে যদি কিছু পেশাদারী না-হওয়া সাংবাদিক সমাজের প্রতি তাদের অবজ্ঞা ও দায়িত্বহীনতা প্রদর্শন করতে থাকে? রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের শনাক্ত করা এবং তাদের তৎপরতা বন্ধ করা খুবই জরুরি, যাতে সঠিক সংবাদপ্রকাশে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে শুধু ময়মনসিংহ নয়, দেশজুড়ে জনগণের ভোটাধিকার, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং শাসনব্যবস্থার ওপর এক গভীর সংকট সৃষ্টি হবে।
এ কারণে, রাষ্ট্রের উচিত এমন অনিয়ম ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। শুধুমাত্র তখনই আমরা একটি সুষ্ঠু এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
Discussion about this post