এদিকে গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে স্বীকারোক্তি না দেওয়া ১১ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছে সিআইডি। একই সঙ্গে মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসেও জড়িত আছেন আবেদ আলী। ফাঁসকৃত প্রশ্ন রাজধানী এবং নীলফামারীর একটি স্থানে প্রার্থীদের পড়ানো হতো বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি পিএসসির অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে চক্রটি।
ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষার আগে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস
স্বীকারোক্তিতে আবেদ আলী বলেছেন, তার অন্যতম সহকারী পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমানকে নিয়ে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর সাজেদুল দিতেন আবেদকে। সর্বশেষ রেলের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহের জন্য এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল তার। তবে পেয়েছেন ৭৫ লাখ টাকা। এরপর চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন যায় নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর হাতে।
এদিকে পিএসসির দাবি, আবেদ আলী কখনো পিএসসির কোনো চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন না। তিনি পিএসসির তিনজন সদস্য এবং একজন যুগ্ম সচিবের গাড়িচালক ছিলেন।
পিএসসির তথ্য অনুযায়ী, চাকরিজীবনে আবেদ আলী পিএসসির সদস্য মজিবুর রহমান বিশ্বাস, মোজাম্মেল হক ও মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাতের গাড়ি চালিয়েছেন। এ ছাড়া একজন যুগ্ম সচিবের গাড়িচালক ছিলেন তিনি। তবে যুগ্ম সচিবের নাম উল্লেখ করেনি পিএসসি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদ আলী ১৯৯৭ সালে গাড়িচালক হিসেবে পিএসসিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি তিনজনের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর ৩(বি) এবং ৩(ডি) ধারায় আনীত অভিযোগসমূহ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়।
Discussion about this post