স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: জয়দেবপুর-পুবাইল সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইটের খোয়া অপসারণ করে মানসম্পন্ন নতুন খোয়া ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) প্রশাসক। আজ সোমবার সিটি করপোরেশনের মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় জিসিসি সচিব নমিদা দে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সোহেল রানা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ চক্রবর্তী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়দেবপুর-পুবাইল আঞ্চলিক সড়কটি উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৫ কোটি টাকা। সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের সড়কটির নির্মাণকাজে ম্যাকাডাম (ইটের খোয়া) বিছানাতে পুরোনো ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি জিসিসির প্রশাসকের নজরে এলে তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেন এবং সড়কের শিডিউল ও বাস্তবায়ন বিষয়গুলো যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পান। এ সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়। এসব খোয়ার মান খারাপ থাকায় প্রশাসক ব্যবহৃত ৩ কিলোমিটার সড়কের সমস্ত খোয়া অপসারণ করে পুরো সড়কে শিডিউলে উল্লিখিত মানসম্পন্ন নতুন খোয়া ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দেন।
সূত্র আরও জানায়, এই সড়কের কাজের প্রাক্কলন খোয়া বাবদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ধরা আছে। নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের ফলে সরকারের এই ৬০ লাখ টাকার অপচয় রোধ হলো এবং নতুন মানসম্পন্ন খোয়া ব্যবহার করে কাজ বাস্তবায়ন করতে পারলে কাজের মান উন্নত হবে। ফলে সড়কটি টেকসই হবে। এর সুবিধা পাবেন সিটি করপোরেশনের সড়ক ব্যবহারকারী নাগরিকেরা।
জানতে চাইলে জিসিসি প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘যে কয়েক দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে থাকব, এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতিকে কোনো রকমের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, গাজীপুর মহানগরীর নাগরিকেরা তথ্য দিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করবেন, যাতে এখানে একটি নাগরিকবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা যায়।
এদিকে জিসিসি প্রশাসকের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, নতুন প্রশাসক একটি রাস্তার অনিয়ম ধরেছেন এবং এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিয়েছেন, এটি অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসকের দায়িত্বকালে সিটি করপোরেশনের অন্যান্য যত অনিয়ম–অব্যবস্থাপনা রয়েছে, তা দূরীকরণে তিনি তৎপরতা অব্যাহত রাখবেন।
Discussion about this post