নিজস্ব প্রতিবেদক :: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নড়াইলে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে হা-পা বিচ্ছিন্ন করা মামলার ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন কলাবাড়িয়া গ্রামের মুক্তি শেখ, এরশাদ শেখ, নূরমিয়া শেখ, আকিজ শেখ, রাইসুল শেখ, তারামিয়া শেখ, হাসান শেখ, মাহাবুব শেখ, রাসেল শেখ, রাশেদ শেখ, শাহিন মোল্যা, আজিজুল শেখ, আলমগীর শেখ, শিমুল মোল্যা, আজিম কাজী ও রইল মোল্যা। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ মার্চ কালিয়া থেকে একটি মাইক্রোবাসে আসামিরা একযোগে ঢাকা যাচ্ছিল। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ ওই মাইক্রোবাসটি ফলো করতে থাকে। রবিবার রাতে মাইক্রোবাসটি ফরিদপুলের ভাঙ্গা থানা এলাকায় পৌঁছালে কালিয়া থানা পুলিশ ভাঙ্গা থানার সহযোগিতা নিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরে কালিয়া থানায় হাজির করে নড়াইলে আদালতে প্রেরণ করে।
এর আগে গত ৬ মার্চ সকালে কলাবাড়িয়া থেকে অসুস্থ বাবা আবিদ শেখকে নিয়ে ইজিবাইকে করে কালিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিল শামীম শেখ। জয়পুর মোড়ে পৌঁছালে কলাবাড়িয়া এলাকার ইউপি মেম্বার সোহেল শেখ ৩টি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পিতা ও পুত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ হলে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়।
ছেলে শামীম শেখের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা, আর আবিদ শেখের ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত আবিদ শেখের অপর ছেলে সেলিম শেখ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে ১০ মার্চ কালিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলার বাদী সেলিম শেখ জানান, আমার বাবা ও ভাইকে সোহেল রানার নেতৃত্বে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে। বৃদ্ধ বাবার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা এলাকায় নিরাপত্তা চাই এবং এর সঠিক বিচার চাই।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রাশিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে রবিবার কালিয়া থানায় আনা হয়েছে। আজ সোমবার তাদের থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ।
Discussion about this post