স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাইমাইল সাইনবোর্ড এলাকায় আজমেরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পলাতক আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শাকিল হোসেন গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানা পূর্ব এনায়েতপুর গোবিন্দবাড়ী এলাকার আল-আমিনের ছেলে। এর আগে, শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকা থেকে শাহেদ আলী (১৯) ও কামরুল ইসলাম (১৭) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১০টায় কোনাবাড়ী থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ পাপন মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে এক নারী যাত্রী (গৃহিনী) উত্তরা হাউজ বিল্ডিং বাসষ্টেশন থেকে আজমেরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে কোনাবাড়ী নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য ওঠেন। এ সময় আজমেরি বাসটি চালিয়ে আসছিলেন চালক বাচ্ছু মিয়া। তার পাশে বসেছিলেন চালক শাকিল হোসেন। বাসটি ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের গাজীপুরের হারিকেন নামক এলাকায় এসে যানজটে পড়েন। যানজটে আটকা পড়ে কয়েক ঘন্টা কেটে যায়। বাসে থাকা অন্য যাত্রীরা নেমে নিজ গন্তব্যে চলে গেলেও ওই নারী যাত্রী বাসে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় ওই যাত্রীবাহী বাসে দুই চালক ও দুই হেলপার আর ওই নারী যাত্রী ছিলেন। রাত ৯টার দিকে বাসটি বাইমাইল এলাকায় এনে একটি নির্জন স্থানে থামিয়ে নারী যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করেন চালক বাচ্ছু মিয়া ও শাকিল। পরে গাজীপুর বাইবাস এলাকা থেকে হেলপার শাহেদ আলী বাসটি চালিয়ে চন্দ্রার দিকে যেতে থাকে। এ সময় দুই বাস চালক নারী যাত্রীর শরীরে স্পর্শ করলে নারী যাত্রী চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে বাস চালক বাচ্ছু মিয়া কোনাবাড়ী ফ্লাওভারের পশ্চিম পাশে যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি নিয়ে চন্দ্রা এলাকায় চলে যায়। ওই নারী যাত্রী বাসায় গিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে স্বজনরা তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, পলাতক আসামি বাচ্চুকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের অনুমতিক্রমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Discussion about this post