ঝিনাইদহ বিশেষ প্রতিনিধি – মোঃ ফজলুল কবির গামা ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে বৃদ্ধ অসহায় টুলু মন্ডলের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেম্বার মেহের আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর টুলু মন্ডলের পরিবার আর্থিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে অন্যের সাহায্য নিয়ে তাদের জীবীকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনাতনপুর গ্রামে। মেহের মেম্বার প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এবং ভুক্তভোগী এ ঘটনায় উল্টো টুলুকেই মামলা খেতে হয়েছে। জানা গেছে, টুলু মন্ডলের তিনটি মেয়ে ছাড়া কোন ছেলে সন্তান নেই। তিনি মহিষ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিন মেয়েকে বিয়ে দিতে পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস মহিষ বিক্রি করতে হয়েছে। শেষে স্বামী স্ত্রী নিরুপায় হয়ে পড়লে স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা আনে পুনরায় মহিষ কেনার জন্য। কিন্তু মেহের মেম্বার প্রলোভন দেখায় তাকে মহিষ গাড়ি চালিয়ে কষ্ট করতে হবে না। এই সাড়ে তিন লাখ টাকা তাকে দিলে সে ব্যবসা করে লাভ করবে এবং মাসে ১০ হাজার করে টাকা দিবে। সহজ-সরল টুলু মেম্বারের কথায় রাজি হয়ে জমি বিক্রি করা সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে দেয়। পরে মাসের পর মাস গেলেও মেহের মেম্বার তাকে কোন লাভের টাকা দেয়নি। বরং চাইতে গেলে টুলুর স্ত্রীকে মারধর করেছে। একপর্যায়ে আসল টাকা চাইতে গেলে মেহের মেম্বার কুট কৌশল অবলম্বন করে। টুলু ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে টুলুর স্ত্রীকে মেহের মেম্বার বোঝায় যে, এনজিও থেকে টাকা তুলে মেম্বার নিজে কিস্তি চালিয়ে ঐ টাকা পরিশোধ করবে। এজন্য টুলুর স্ত্রীকে ব্যংকে একাউন্ট খুলে দিয়ে একটি চেকে সই করে নেয় মেহের। পরে ঐ চেকে ৪ লক্ষ টাকা লিখে নিয়ে উল্টো টুলুর বিরুদ্ধে চেকের মামলা করে মেহের মেম্বার। পরে মেহের মেম্বার টুলুর কাছ থেকে যে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়েছিল, সেই টাকা আর পাবেনা শর্তে একটি আপস নামায় সই করে ঐ চেকের মামলা থেকে মুক্তি পায় টুলু। মেহের মেম্বার উপজেলার ভেড়াখালি গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার। এবিষয়ে জানতে মেহের মেম্বারের বাড়িতে গেলে তিনি বাড়িতে নেই বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। এছাড়াও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Discussion about this post