শেখ মামুনুর রশীদ মামুন: ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ রিট বাতিল এবং বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পূরণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। এই আন্দোলন বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমর্থন পেয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবী, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের আন্দোলন তখনই বন্ধ হবে যখন তাদের যৌক্তিক দাবীগুলি পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ: ১. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরের অবৈধ প্রমোশন কোটার রিট বাতিল: শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অবৈধভাবে প্রমোশন কোটার রিট বাতিল করা হোক।
২. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবী বাতিল করে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নামকরণ: তারা চাচ্ছেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবী অবিলম্বে বাতিল করে “ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট” পদে নামকরণ করা হোক এবং ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদের জন্য পূর্বের নিয়োগ বিধি পুনর্বহাল করা হোক।
৩. নন-টেক ক্রাফটদের স্থানান্তরের আশ্বাস বাস্তবায়ন: ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগ প্রাপ্ত সকল নন-টেক ক্রাফটদের (অধিদপ্তর, পলিটেকনিক, টিএসসি) স্থানান্তরের আশ্বাস অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনবল নিয়োগ: তারা দাবি করছেন, দেশের সকল কারিগরি পদে, বিশেষত পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
৫. পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন: শিক্ষার্থীদের দাবী, দেশের সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক যাতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষার সুযোগ পায়।
৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য বেতন স্কেল নির্ধারণ: ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে একটি নির্দিষ্ট বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকার যদি তাদের যৌক্তিক দাবিগুলি পূরণ না করে তবে তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। সচেতন মহল আশাবাদী যে, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা সমাধান করবে এবং দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এই আন্দোলনে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
Discussion about this post