নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ঈদ এলেই জনদুর্ভোগে পড়েন ঈদমুখো মানুষ। অতীতে ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে মানুষের ভোগান্তি দেখেছি, পথে অভুক্ত থেকেছেন। তখন তাদের মনের ভেতর থেকে একটি অভিশাপ আসে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা আমাদের ইবাদতের অংশ হবে।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য পুলিশ বিভাগ, বিআরটিএ এবং পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফুলবাড়ীয়া-গুলিস্তান বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মালিকদের করণীয় নির্দেশনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, এয়ারপোর্টে প্রবাসীরা যখন হয়রানির শিকার হোন, তা গোটা দেশের ওপর পড়ে। তেমনি পরিবহন সেক্টরে কিছু চাঁদাবাজের জন্য পুরো পরিবহন সেক্টর এর দায় নিতে পারে না। বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও মামলা এবং হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। সেই ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এর জন্য চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান শিমুল বিশ্বাস।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (মতিঝিল) জালাল উদ্দিন, মালিক সমিতির সাইফুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, শ্রমিক ফেডারেশনের আব্দুর রহিম বক্স প্রমুখ।
সভায় আসন্ন ঈদে নিরাপদে ঘরে ফেরা ও ফিরে আসা নির্বিঘ্ন করার জন্য মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, ফুলবাড়ীয়া, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশনসহ ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভি ও ইলেকট্রনিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা পুলিশ, বিআরটিএ, মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়।
Discussion about this post