জুলফিকার আলী জুয়েল: গাজীপুরের চন্দ্রা রেঞ্জের মৌচাক বিটের অন্তর্ভুক্ত আর এস দাগ নম্বর-৮৩৪ এর বেশ কিছু গজারি গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৌচাক বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কে ম্যানেজ করেই চলে গভীর বনাঞ্চলে গজারি গাছ কেটে বনের জমি দখল করে সড়ক ও ঘরবাড়ি নির্মাণের ধুম। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, ১.মোঃ মুন্না মিয়া প্রায় ১০-১৫ টি গজারি গাছ কেটে ৭ রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান রাখছেন। ২.মোঃ বাবু মিয়া (লতিফ সাহেবের বাড়ির সাথে) প্রায় ৮-১০ টি গজারি গাছ কেটে ৪ রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩.মোঃ আলামিন (ইমরান সাহেবের বাড়ির সাথে) প্রায় ৮-১০ টি গজারি গাছ কেটে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ মার্চ রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বনের ভেতরে সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বনপ্রহরী সালাউদ্দিন জানান, অভিযুক্তরা আগেও বনের গাছ কেটে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিগত দিনে বন বিভাগ অবৈধ কার্যক্রম প্রতিহত করতে নির্মাণ সামগ্রী জব্দও করেছে। তবুও দখলদারদের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুন্না মিয়ার সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক দেখে কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে চন্দ্রা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। বন বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে ঘুষ বানিজ্য অস্বীকার করে তিনি জানান, বনবিভাগের গজারি গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে আমি কিছু জানি না এবং আমি অবগত না। বন বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে বনের জমি দখলে দিয়ে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে, স্থানীয় জনগণ এ ধরনের দখলদারিত্ব বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বনের পরিবেশ রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
Discussion about this post