নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাছের বর্জ্য থেকে মূল্যবান পণ্য নিষ্কাশনের উপযুক্ত পদ্ধতির উন্নয়ন এবং পরবর্তীতে এর সম্প্রসারণ বিষয়ে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) সঙ্গে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সভাকক্ষে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। কীভাবে মাছের বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা যায় তার নিরিখেই এ চুক্তিটি করা হয়। গাকৃবির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ইউএনডিপির লোকাল গভর্নমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে।
জানা যায়, টেকসই, উদ্ভাবনী ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উন্নয়নমূলক এ স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সরদার আসাদুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি লজিক এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম আজাদ রহমান, ইউএনডিপির অপারেশন ম্যানেজার মোঃ এনামুল হকসহ গাকৃবির বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, ফিশারিজ অনুষদের বিভাগীয় প্রধানগণ ও রেজিস্ট্রার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, উদ্ভাবন ও সাফল্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. মো. মসিউল ইসলাম। এরপর স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র প্রকল্পের প্রধান পিআই প্রফেসর ড. এস.এম রফিকুজ্জামান মৎস্য বর্জ্য বিষয়ে সম্ভাবনাময় তথ্যবহুল উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার উপযোগী করে কীভাবে মৎস্য বর্জ্যকে রিসাইকেল করে কোলাজেন, জিলাটিন, ফিশ সাইলেজ প্রভৃতি তৈরির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা যায়, তা ড. রফিকুজ্জামানের উপস্থাপনায় দেখানো হয়। পরে সরদার আসাদুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়নকে সফল করতে ইউএনডিপি যে সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে তার মধ্যে অনেক গবেষণা গাকৃবিতে চলমান রয়েছে বিধায় এক্ষেত্রে গাকুবিকে টেকসই উন্নয়নের ডিএনএ বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে গাকৃবির সঙ্গে ইউএনডিপি ভবিষ্যতে নানা প্রকল্পের বিস্তার ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারে সচেষ্ট থাকবে বলেও আসাদুজ্জামান বক্তব্যে তুলে ধরেন। অন্যদিকে গাকৃবির উপাচার্য ইউএনডিপিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি যুগান্তকারী অধ্যায় রচিত হলো।
Discussion about this post