নিজস্ব প্রতিবেদক :: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নোয়াখালীতে ১২০ হাফেজকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলার বেগমগঞ্জ মডেল মসজিদে নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে কোরআনের হাফেজদের সম্মানিত করতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা ছাত্রশিবির। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১২০ জন কুরআনের হাফেজ অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক হাফেজকে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও সুন্নাহ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সংবর্ধিত হাফেজরা। এমন আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে আয়োজকদের প্রতি সেই দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবর্ধিত হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, হাফেজ হয়েছি দীর্ঘদিন আগে কিন্তু এখন পর্যন্ত একসঙ্গে এতজন হাফেজকে কেউ সংবর্ধনা দেয়নি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। সামনে কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আগামীতেও যেন এমন আয়োজন অব্যাহত থাকে এটাই আমাদের চাওয়া থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা বলেন, রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসে কোরআন যারা বুকে ধারণ করেছে তাদের সম্মানিত করা আমাদের সকলের জন্য প্রয়োজন। সমাজের ইসলামের ধারক এবং বাহক হচ্ছে কোরআনের হাফেজরা। ইসলামের চার জন খলিফাই হাফেজ ছিলেন। হাফেজরা সমাজের নেতৃত্বে এগিয়ে আসলে সুন্দর একটি সমাজ গড়ে উঠবে।
নোয়াখালী জেলা উত্তর সভাপতি দাউদ ইসলাম বলেন, মানুষের হেদায়েতের জন্য রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হয়। কোরআনের আলোকেই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার আহ্বান জানাই আমি। মানুষের কাছে কোরআনের সঠিক বার্তা প্রচার করতে হবে। পবিত্র কোরআনের আলোতে বিশ্ব আলোকিত হোক এই চাওয়া ছাত্রশিবিরের। পূর্বের ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় অনেক আলেম এবং হাফেজকে বিনা অপরাধে নির্যাতিত হতে হয়েছে। আমরা চাই আমাদের সমাজে কুরআনের হাফেজরা সবসময় যেন সম্মানের আসনে থাকে যার জন্য আজকের এ আয়োজন। এসময় নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক আমিমুল ইহসান ফাহাদ, প্রকাশনা সম্পাদক ওসমান গনি, সাহিত্য সম্পাদক ইয়াকুব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post