স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরের শ্রীপুরে নেশার টাকা যোগাতে ৫০০০ টাকার জন্য রেজাউল করিমকে (৪০) হত্যা করে খুনিরা। গত তিন মার্চ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার ১২ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তবে একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
জান গেছে, নিহত মো. রেজাউল করিম নেত্রকোনা সদরের দূর্গাশ্রম গ্রামের এছাক মুন্সির ছেলে। হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার কেওয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন শান্ত(২৫), উজিলাব গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম উরফে পাগলা মামু (৫২) ও নেত্রকোনা জেলা সদরের টেংগা গ্রামের মৃত আলী ওসমানের ছেলে জুলহাস উদ্দিন (৩৪)। এদিকে আজ সকাল ১১টায় হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিশ্চিত করে প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদিন মন্ডল ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর সদরের বাঘের বাজার এলাকা থেকে ঘাতকরা ৪ জন মিলে পথ রোধ করে রেজাউলকে তুলে নেন। তার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ছিনতাই করেন। ঐদিনই রাত ১২টার পরে রেজাউলকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। মরদেহের হাত- পা বেঁধে উপজেলার গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ি এলাকার কলা বাগানে ফেলে পালিয়ে যান তারা। ঘটনার ৫ দিন পর পুলিশ রেজাউলের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মো৷ মতিউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরও জানান,তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আজ দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
Discussion about this post