জুলফিকার আলী জুয়েল : “গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত হোটেল হ্যাভেনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করেছে এক দালালসহ ৮ জন দেহকর্মীকে। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত জনতা হোটেলের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।” “মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটে কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানার পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় হোটেল হ্যাভেনে। অভিযানে এক দালালসহ ৮ জন দেহকর্মীকে আটক করা হয়। পুলিশের এই অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।” “উত্তেজিত জনতা হোটেলের গেট ভেঙে ফেলে, ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং হোটেলের আসবাবপত্র বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনাবাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা, মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালায়, গ্রেপ্তার ও করা হয়, কিন্তু দু এক দিন পরে আবার তারা পূর্বের ন্যায় হোটেল গুলোতে দেহ ব্যবসা চালাতে থাকে, তারা আরো বলেন হোটেল হেভেন সহ আরো তিনটি আবাসিক হোটেলেও একই কার্যক্রম চলমান রয়েছে কিন্তু অভিযানের খবর পেয়ে তারা দ্রুত হোটেলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে শটকে পরে । “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পরপরই কোনাবাড়ীর অন্যান্য আবাসিক হোটেল বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।” “গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবৈধ দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে এই অভিযানের ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বন্ধ হবে।”
Discussion about this post