শেখ মামুনুর রশীদ মামুন: ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালি থানার ডিউটি রুমে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ মার্চ ২০২৫) দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক থানার ডিউটি রুমে উপস্থিত ছিলেন। এসময়, হঠাৎ শান্ত নামে একজন যুবক বিএনপির কর্মী বা নেতা পরিচয়ে সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি দেয়। এই ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে, যখন থানার ভিতরে মোঃ তরুন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে। তরুন মিয়া ও তার সাথে থাকা ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা মল্লিকা রাণী সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়, এবং এই ঘটনা সম্পর্কে কথা বলতে আসেন শান্ত। তবে সাংবাদিকরা ঘটনাটি জানতেন না, তারপরও শান্ত তাদের উপর হামলা ও হুমকি প্রদান করেন।
অথচ, এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকরা জানান যে তারা কোনও প্রকার উস্কানি বা বিরোধ সৃষ্টি করেননি, কিন্তু শান্ত তাদের প্রতি হুমকি প্রদান করেন, যা থানার ভিতরেও ঘটেছিল। ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছুটিতে ছিলেন এবং থানার তদন্ত কর্মকর্তা রহস্যজনকভাবে ঘটনাটি এড়িয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একজন সাংবাদিক জানান, ‘‘থানায় যদি এমন পরিস্থিতি হয়, যেখানে সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’’ তিনি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বিষয়টির দ্রুত তদন্ত দাবি করেন।
এছাড়া, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যদি সাংবাদিকরা থানার ভিতরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
এই বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার জন্য কোতোয়ালি থানার ডিউটি রুমসহ আশেপাশের সকল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে, যাতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হতে পারে।
এদিকে, বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে এই ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যাতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সমাজে সঠিক সংবাদ প্রচার করা সম্ভব হবে না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন হতে পারে।’’
Discussion about this post