নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের ভোল্ট পাল্টে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা বিএনপির নেতা ও ৩৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোঃ সুমন শেখ ও মোঃ পারভেজ হোসেন। তারা এখন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হয়ে শুরু করেছেন নতুন রাজত্ব। মহানগর পর্যায়ের নেতাদের নাম বলে সাধারন মানুষদের ভয়ভীতি দেখানো আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী এ দুই স্বেচ্ছাসেবলীগের নেতা চলছে বীরদর্পে। অথচ বিগত আমলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী হামলা মামলার শিকার হলেও এখনও হচ্ছে বঞ্চনার শিকার। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে গত ৫ আগস্টের আগে মোঃ সুমন শেখ ও মোঃ পারভেজ হোসেন ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের দমাতে আওয়ামী লীগের হয়ে তারা তাদের বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
এছাড়াও তাদেরকে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা গেছে। গাজীপুর মহানগর ও গাছা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তাদের নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। নির্বাচন আসলেই নৌকা প্রতীকে চেয়েছেন ভোট। নিজেদের এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা মোঃ সুমন শেখ ও মোঃ পারভেজ হোসেন কে আওয়ামী লীগ নেতা বলেই জানতাম। এবং তারা আ.লীগের রাজনীতিতে থেকে বিভিন্ন সময় আমাদের নিকট ভোট চাইতে বাড়িতে আসতেন। আওয়ামী লীগ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা নেয়া নেতা ৫ ই আগষ্টের পর মোঃ সুমন শেখ ও মোঃ পারভেজ হোসেন তারা কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচয় দেন তারা কেমনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থী হয় এ নিয়ে জনমনে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উক্ত বিষয়ে গাছা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইমতিয়াজ মুজতবা খান তুষারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিএনপির যেকোন কমিটিতে আওয়ামী ঘরনার লোক থাকা পাপ। আমরা সাংগঠনিক মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভোল্ট পাল্টে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয়দানকারী মোঃ সুমন শেখ বলেন আমি কখনো আওয়ামী রাজনৈতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমার যে সমস্ত ছবি গুলো আপনারা দেখছেন সেগুলো সব এডিট করা আমি তার প্রমাণ আপনার নিকট এ দিব। এডিটের প্রমাণ চাইলে তিনি কয়কেদিন সময় চায়।
Discussion about this post