আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোর সদর উপজেলার বিপ্রহালসা এলাকায় মোজাম্মেল হোসেন (৪০) নামে এক ভ্যানচালকের বসতবাড়ি জোরপূর্বক দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এসময় ভেঙে ফেলা হয়, রান্না ও বসত ঘড়, চুলা এবং ট্রিনের বেড়া।
অবৈধভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে ইটের প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত জাহিদুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বিপ্রহালসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও নাটোর সদর থানায় জমসেদ ও তার দুই ছেলে জাহিদুল ও জাবিদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল।
ভুক্তভোগী মোজাম্মেল একই এলাকার মৃত খোরশেদের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত জামসেদ ও তার দুই ছেলে জাহিদুল ও জাবিদুল একই এলাকার বাসিন্দা।
নাটোর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও সদর থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মোজাম্মেল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মোজাম্মেলের বাবা মৃত খোরশেদ ২৫ বছর আগে একই এলাকার বাসিন্দা জামসেদের ভাগীশরিকদের কাছ থেকে প্রায় ১০ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি সময় জামসেদ ও তার দুই ছেলে জাহিদুল এবং জাবিদুল মোজাম্মেলের ভোগদখলকৃত জমিতে কিছু অংশ আছে দাবি করে আসছে। এরই একপর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্তরা তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনী সাথে নিয়ে ওই জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করতে যায়। এসময় প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিলে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে মোজাম্মেল ও তার পরিবারের উপর চড়ায় হয় এবং মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এসময় ভুক্তভোগীরা প্রাণভয়ে অন্যত্র সরে গেলে মোজাম্মেলের বসতবাড়ীতে প্রাচীর নির্মাণ করে অভিযুক্তরা। বর্তমানে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ভুক্তভোগী মোজাম্মেল জানান, অভিযুক্তরা বলপ্রয়োগ করে আমাদের ক্রয়কৃত ও ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণ করেছে। এতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার পরিবারকে মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর প্রতিকার চাই।
স্থানীয় মৎস্যজীবি দলের সাবেক সিনিয়র সহভাপতি তারা মিয়া জানান, ভুক্তভোগীরা অসহায়, দরিদ্র পরিবারের লোক। ইতোপূর্বে আওয়ামীলীগ নেতা দেলু শাহ ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে ওই জায়গা আমিন দিয়ে মাপজোক করে তার আপন ভাগিনা জাহিদুলদের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেন। সেই অনুযায়ী ভুক্তভোগীরা বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। আবার হঠাৎ করে একই জায়গায় মাপজোক করে ভুক্তভোগীর বসতঘরের ৪হাত জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে।
অভিযুক্ত জাহিদুল জানান, মোজাম্মেলের বাবা খোরশেদ আমার দাদার সম্পত্তি ক্রয় করে বসবাস করছে। কিন্তু এক মাস আগে আমিন দিয়ে ওই জমি মাপজোক করা হলে আমরা বসতভিটার ৪ হাত লম্বালম্বি জায়গা পায়। প্রতিপক্ষকে আমিন দিয়ে জমি মাপার কথা বললে তারা যথাসময়ে জমি মাপজোক করেনি। তাই আমরা আমিন নিয়ে এসে জমি মেপে পাওয়া জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করছি।
নাটোর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুক্তাদির জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Discussion about this post