গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে ভাড়াটিয়া সেজে আবাসন প্রকল্পের অফিস দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই অফিস উদ্ধারের দাবিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার উত্তর খাইলকৈর এলাকায় ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী আকন্দ জানান, নিজেদের কর্মব্যস্ততার কারণে প্রকল্পঅফিস নিয়মিত ব্যবহার করতেন না। এই সুযোগে তাদের প্রকল্পের তৎকালীন কেয়ারটেকার ও জমির দালাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কফিল উদ্দিন ব্যবসার কথা বলে ২০১৩ সালে অফিসটি ভাড়া নেন। তিনি প্রথমে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসলেও পরবর্তীতে কয়েক মাস ভাড়া পরিশোধ না করে নিজেই ওই অফিসসহ জমির মালিকানা দাবি করে বসেন। এমনকি বিগত ২০১৮ সালে মালিকানাবিহীন একটি দলিল তৈরি করে তার সম্বন্ধী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আহমদ আলী বেপারীর সহযোগিতায় আবাসন প্রকল্পের অফিসসহ প্রায় ৫ শতাংশ জমি জবরদখল করেন। গণবিপ্লবে ফ্যাসিবাদ সরকারেরর পতনের পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আহমদ আলী পলাতক রয়েছেন। বর্তমানে আবাসন প্রকল্পের কর্মকর্তারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বেদখল হওয়া ওই অফিস ও জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নিলে আ’লীগ নেতা কফিল উদ্দিন ৮০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই জমিতে তার ৮০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে স্থানীয় সালিশে দাবি জানান।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কফিল উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ছেলে হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে এক কোটির টাকা লোন এনেছি। আমাদের কাগজপত্র সঠিক না থাকলে ব্যাংক লোন দিত না। প্রকৃত ঘটনা হলো, ধানসিঁড়ি কতৃপক্ষ জমি কিনেছে ৯৭৫ নং দাগে, আর দাবি করছে ৯৭৮ নং দাগে। তারা আদালতকে বিভ্রান্ত করে একতরফা একটি রায় এনে আমাদের জমি দাবি করছে। আমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছি।
Discussion about this post