নিজেস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চুয়াডাঙ্গার জনসাধারণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স ডিবেট ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স ডিবেট ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাংবাদিক আসলাম হোসেন বলেন, সব সেক্টরে পশ্চিম পাকিস্তানিদের বৈষম্যের কারণেই জাতির পিতা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ডাক দেন। আজকে আবারও সেই বৈষম্যনীতির চালু হচ্ছে সব ধরনের জব সেক্টরে। এমন বৈষম্যের মাধ্যমে ছাত্রদের এভাবে শেষ করে দিলে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। তাই প্রতিবন্ধী বাদে সব ধরনের কোটা সব চাকরি থেকে বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দিতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স ডিবেট ক্লাবের সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটের) শিক্ষার্থী আসিফ আরাফাত বিশ্বের কয়েকটা দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কোন অনগ্রসর গোষ্ঠীর একটি পরিবার একবার যদি কোটা সুবিধা পাই তাহলে পরবর্তীতে ওই পরিবারে আর কেউ ওই সুবিধা পান না, বাংলাদেশেও এভাবে কোটা সংস্কার করা যেতে পারে, কোন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতি পোতি একবার এই সুযোগ পেলে আর কেউ পাবেন না।
আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও ডিবেট ক্লাবের সদস্য মো. রনি বিশ্বাস বলেন, কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না। সংবিধানে চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লঙ্ঘন। তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মো. তাহমিদ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
Discussion about this post