নিজস্ব প্রতিবেদক:: শরীয়তপুরে দুই ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পিটুনিতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচ ডাকাত। এদিকে ডাকাতের ছোড়া গুলিতে নয়জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার ভোররাতে জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমরা খবর পাই, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারহাট এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাত দলকে ধাওয়া দিলে তারা এলোপাথারি গুলি ছোড়ে।’ ‘ডাকাত দল কীর্তিনাশা নদী পথ ধরে পালিয়ে আসছিল। দুই জেলার সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা হওয়ায় মাদারীপুরের সাতজন ও শরীয়তপুরের দুইজন ডাকাতের গুলিতে জখম হন। মাদারীপুরের আহতদের মধ্যে পাঁজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এবং দুইজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে শরীয়তপুরে আহত দুইজনের মধ্যে একজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন,’ বলেন তিনি।
নজরুল আরও বলেন, ‘রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। বিষয়টি জানার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত ডাকাতদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়। আমরা একটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছি।’
সূত্র জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বাল্কহেডের শ্রমিক রয়েছেন। দুইজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।’ ‘এরপর রাত ১২টার পরে গণপিটুনিতে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাত ১টার পর আরও দুজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে তাদের দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল,’ বলেন তিনি।
Discussion about this post