জুলফিকার আলী জুয়েল : গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক তেলিরচালা হলি মডেল পাবলিক হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় কিছু স্থানীয় বখাটেরা ছাত্রীদের উত্তপ্ত করেন। এরই জের ধরে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কে মারপিট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন।
জানা যায় ২২শে ফেব্রুয়ারি-২০২৫ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলি মডেল পাবলিক হাইস্কুল এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন কতিপয় কিছু স্থানীয় বখাটে ছেলেরা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। উত্তপ্ত করা কালীন অবস্থায় উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণীর ছাত্র হাবিবুর রহমান (১৬) উত্তপ্ত কারীদের বাধা প্রদান করে। উত্তপ্ত কারীরা হাবিবুর রহমানকে মারধর করে আহত করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সুফিয়া হাসপাতলে ভর্তি করেন। এদিকে খবরটি জানাজানি হইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তাহাদেরকেও মারধর করেন। পরিবেশ অস্থিতিশীল ও বিশৃংখল হওয়ায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করেন অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২শে ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে সম্ভাব্য ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেইন গেটের তালা ভেঙ্গে দা, লাঠি, রড, শাবল, ইত্যাদি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ৪টি থাই গ্লাসের জানালা, ১টি কম্পিউটার রুমের দরজা, টব সহ ফুলের চারা, ক্যাশ কাউন্টার, ২টি সিসি ক্যামেরা সহ বিদ্যালয় এর বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করিয়া প্রায় আনুমানিক ১৩৫.০০০/- (এক লক্ষ পয়এিশ হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে।
হলি মডেল পাবলিক হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এম এ করিম লোক মারফত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করিলে সাগর নামে এক হামলাকারী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মুখে ও তাহার ছেলে আলি রাজের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করিয়া যখম করে। এম এ করিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে তাহাকে খুন যখম সহ বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগের হুমকি প্রদান করিয়া কারীরা নির্বিঘ্নে চলিয়া যায়।
জখমী দশম শ্রেণীর ছাত্র হাবিবুর রহমান তার ছেলে আলী রাজ ও এম এ করিম নিজেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করিয়া কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তকরা হলেন, ১/ অয়ন মিয়া (২৫), পিতাঃ মোঃ সামছুল হক (হক সাহেব), ২/ সাগর মিয়া (২৬), পিতাঃ আব্দুর রহিম উভয়ের সাং তেলিরচালা, মৌচাক, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ৩/ আবুল হোসেন রনি (৪৮), পিতাঃ মৃত. ইসমাইল হোসেন, ৪/ আব্দুর রহিম (৬২), পিতাঃ মৃত. মুনুর উদ্দিন, ৫/ হারুন অর রশিদ (৪৫), পিতাঃ মৃত. ইসমাইল হোসেন, ৬/ নজরুল ইসলাম নুরু (৬০), পিতাঃ মৃত. শুকুর আলী মাতবর, ৭/ সামছুল হক (৬৫) হক সাহেবের পিতা।
অভিযোগকারী এম এ করিম (হলি মডেল পাবলিক হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক) দেশের প্রশাসনের কাছে ও উপদেষ্টা মহোদয় সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের মাধ্যমে আবেদন জানান।
Discussion about this post