বিশেষ প্রতিনিধিঃ পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তাদের মূলত কোন জবাব দিহিতা ছিলোনা। নিজ নিজ ইচ্ছা মতো দেশটাকে তারা লুটেপুটে খেয়েছে।
তার প্রভাব পড়েছে ময়মনসিংহ জেলার সব গুলো ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি ভূমি অফিস গুলোতে।
ব্যাপক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সদরের চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ অভিনব কায়দায় সরকারি ভূমি অফিসের সহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার দায়িত্বে থেকে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, ও ঘুষ বানিজ্যে ছিলেন বেপরোয়া ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি অত্র অফিসে যোগদানের পর থেকে নামখারিজে ঘুষ, একই জমি দুই নামে খারিজ, ঘুষ না দিলে হয়রানি, সহ নানা অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে আওয়ামী লীগের এই দোসর!
জানা গেছে, ঘুষ বাণিজ্যের কৌশল হিসেবে নিজেই দালালচক্র তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করেন, আর এসব দালালদের খপ্পরে পড়ে, লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয় ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনদের। বাজারের কাঁচামালের পন্যের মতো টাকার বিনিময়ে সেবা দেন রুবেল মাহমুদ সিন্ডিকেট !
অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ সংশ্লিষ্ট নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সরকারি ভূমি কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রন ভার রুবেল মাহমুদের হাতেই ছিলো এখনো আছে । সেক্ষেত্রে রুবেল মাহমুদ একজন বেপরোয়া নায়েব হিসেবে স্হানীয় বাসীদের সাথে তার গড়ে উঠে ছিলো সখ্যতা আর টাকার প্রেম।
জানা গেছে, ইউনিয়নের ভুমি অফিস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা চলতো। টাকার ভাগ যেতো স্হানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার থেকে শুরু করে নিজের কাছে এবং আওয়ামী লীগের উচ্চ মহল পর্যন্ত যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তী অভিযোগে জানা গেলো. গরীব অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ যখন তাদের সঠিক দলিল নায়েব রুবেল মাহমুদের কাছে উপস্হাপন করতো তখন রুবেল মাহমুদ বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করতো। রাগ-ক্ষোভ ঝাড়তো এবং মিথ্যাচারের কৌশল প্রয়োগ করে দলিল ফিরিয়ে দিলেও দলিল গ্রাহকের ঘটি-বাটি বিক্রি করে টাকা তুলে দিতে হত দালাল সিন্ডিকেট প্রধান নায়েব রুবেল মাহমুদের হাতে।
জানা গেছে, এভাবেই গরীবের রক্ত চুষে নায়েব রুবেল মাহমুদ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। চলছে শান-সৌকতের জীবন-যাপন।
ধান্ধাবাজ এই নায়েব রুবেল মাহমুদ দেশের ক্ষতি করেও কেন বহাল তবিয়তে আওয়ামীলীগেরই দোসর হিসেবে কাজ করে যাবেন এটা গুরুতর প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যপারে দূদক বা ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা গুলোর কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। সেই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশপ্রেমিক জন সাধারণ।
Discussion about this post