নিজস্ব প্রতিবেদক :: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশের সুরক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে প্রকৃতির ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
তিনি বলেন, প্রকৃতিকে পরাজিত করা যায় না, বরং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন গড়ে তুলতে হয়। পরিবর্তিত বিশ্বে আমাদের জীবনযাত্রাকে টেকসই করতে হবে। আজ শনিবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের প্রথম সমাবর্তনে সমাবর্তন সভাপতি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শব্দদূষণ ও পলিথিন দূষণ রোধে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ নয়, দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্বও নিতে হবে। শিক্ষার প্রকৃত মূল্যায়ন তখনই হয়, যখন তা সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলেই সমাজ বদলাবে না, বরং বাস্তব কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে। আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশ। তাই নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদের দায়িত্ব শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবা নয়, সমাজ ও দেশকেও নিয়ে ভাবতে হবে। এখন সময় এসেছে দেশের জন্য কাজ করার, সমাজের জন্য অবদান রাখার। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
সামাজিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রায়ই অন্যের ওপর দোষ চাপাই, কিন্তু নিজেরা বদলাতে চাই না। সরকার একা পরিবর্তন আনতে পারবে না, আমাদের প্রত্যেককেই পরিবর্তনের অংশ হতে হবে। আমাদের অবস্থান থেকে সচেতন হলেই একটি সুন্দর ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম. আমিনুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল (অব.) ফরিদ হাবিব, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামুল বাসার এবং কনভোকেশন স্পিকার ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণের পাশাপাশি গোল্ড মেডালিস্টদের সনদ ও পদক প্রদান করা হয়।
Discussion about this post