স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী:: গাজীপুরের টঙ্গীতে ফুটপাত দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক ইজিবাইক চালক নিহত এবং এক ছাত্রদল নেতাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ রোডে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজিবাইক চালক সজীব আলী (১৭) সিরাজগঞ্জ জেলার দুলাল মিয়ার ছেলে, টঙ্গী খৈরতুল এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। আহতদের মধ্যে অন্যতম হলেন শান্ত ইসলাম, যিনি ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী। তিনি গুরুতর আঘাত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ চায়না গার্মেন্টসের পাশে ফুটপাত দখল, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদের অনুসারী মামুন, মাসুদ ও মুন্না গ্রুপের সঙ্গে গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য প্রিন্স ও জুয়েল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় যুবদল নেতা প্রিন্স ও জুয়েল গ্রুপের সদস্যরা লাঠি-সোটা নিয়ে মামুন গ্রুপের ওপর হামলা চালালে মামুন, মাসুদ ও মুন্না গ্রুপের সদস্যরা প্রায় ১৫০-২০০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালান। সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা শান্ত ইসলামসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহত শান্ত ইসলামকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, সজীব আলীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হলে তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া পরিবারের সদস্যরা তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানকার জরুরী বিভাগে চিকিৎসা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। নিহত সজীবের স্বজনরা জানায়, সজীবের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর কোপের চিহ্ন রয়েছে এবং তার এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ঘাতকরা।
সংঘর্ষের পর টঙ্গী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, মামুন-মুন্না গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত এবং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য পূর্বে কারাগারে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান জানান, সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সজীবের মৃত্যু সম্পর্কে আলাদা তদন্ত করা হচ্ছে।
Discussion about this post