স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে বরিশাল বিভাগের আবরণ জায়ান্টস ৪৩ রানে ঢাকা বিভাগের বালিয়া ভাইকিংসকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করেছে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার পূর্বচান্দরা স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আবরণ জায়ান্টস দল ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে। তাদের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন, যার ফলে তারা বিশাল রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এরপর বালিয়া ভাইকিংস মাঠে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান করতে পারে। ফলে তারা ৪৩ রানে পরাজিত হয়ে শিরোপা জয় থেকে বঞ্চিত হয়।
ফাইনাল ম্যাচের পর আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইজুদ্দিন আহমেদ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস) মো. সুলতান উদ্দিন প্রদান এবং বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন পূর্বচান্দরা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ সোলাইমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন, এবং উপজেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিশিষ্ট ক্রীড়াপ্রেমী।
আয়োজকরা জানান, এই ধরনের টুর্নামেন্ট ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে খেলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে এবং তরুণদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে। তারা বিশ্বাস করেন, মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখতে এই ধরনের টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও অতিথিরা বলেন,”খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজকে সুস্থ ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা সম্ভব। এ ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকলে কালিয়াকৈর থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসবে, যারা একদিন জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। ফাইনাল ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে সোনালী ট্রফি এবং রানার্স-আপ দলের হাতে রূপালী ট্রফি দেওয়া হয়।
এছাড়া, খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারও প্রদান করা হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আয়োজকরা আশা করেন, এই ধরনের টুর্নামেন্ট যুবসমাজকে খেলাধুলায় আরো বেশি সম্পৃক্ত করবে এবং এক সময় স্থানীয় এলাকার ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আয়োজকরা।
Discussion about this post