নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশজুড়ে শুরু হওয়া অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’ গাজীপুর জেলায় ৬২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। রাতভর অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে আটক করে। গাজীপুরের ৫টি থানা এলাকা থেকে ৪০জনকে আটক করা হয়েছে এবং মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে ৭ থানা থেকে ২২জনকে আটক করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, জেলার শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
এদিকে গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে টঙ্গী পশ্চিম, টঙ্গী পূর্ব ও পূবাইল থানায় একজন করে তিনজন, গাছা থানায় পাঁচজন, বাসন থানায় আটজন, কোনাবাড়ি থানায় দুইজন, এবং কাশিমপুর থানায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে হামলার শিকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সদর থানার ওসির সহয়তা না পাওয়ার অভিযোগে ওসি আরিফুল রহমানকে প্রত্যাহার করেন জিএমপি কমিশনার। পূবাইল থানায় গ্রেপ্তার হওয়া শেখ আবদুল হালিম সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস মাজেুল ইসলাম সেলিমের ঘনিষ্ট। তিনি পূবাইল থানা যুবলীগ সভপতি প্রার্থী ছিলেন।
কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, আটক চারজন হলেন, ঢাকা জেলা (উত্তর) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আবদুর রউফ আরিফ, গাজীপুর মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো শহিদুল্লা ও মোমিন ভান্ডারি এবং ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক তানজিদ খান।
Discussion about this post