আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই নাটোরের ৪টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নাটোর জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ বৈঠকে উপজেলাযর রোকনদের প্রত্যক্ষ ভোট এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম নাটোরের ৪টি আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। নাটোরে ৪ টি আসনে জামায়াত মনোনীত পার্থী তালিকা নিম্নরুপ। নাটোর -১ আসনে ( লালপুর-বাগাতিপাড়া ) জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হলেন লালপুর উপজেলা আমীর এবং লালপুর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। নাটোর ২ আসনে (নাটোর সদর- নলডাঙ্গা ) প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নাটোর জেলার সম্মানিত নায়েবে আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জেলা জামায়াতের সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর সাইদুর রহমান। নাটোর ৪ (গুরুদাসপুর -বড়াইগ্রাম) আসনে প্রার্থী জামায়াত মনোনীত সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সহকারী সেক্রেটারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা মাওলানা মোঃ আব্দুল হাকিম। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হতেই এবং কোনরকম নির্বাচনী পূর্বাভাস ছাড়াই প্রার্থী ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের আমির ডঃ নুরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে জেলাগুলোকে তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করার একটা নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা অনুসারী ১৪ টি ক্যাটাগরি থেকে আমরা বসে চার আসনের চারজন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছি। এই চারজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানোর পর সেখান থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রয়োজনে প্রার্থী পরিবর্তনও হতে পারে। জোটবদ্ধ নির্বাচন যদি করেন সেক্ষেত্রে কি হবে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এই জন্যেই আমরা প্রয়োজনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হতে পারে এমন ঘোষণাও দিয়ে রেখেছি। তবে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে। তফসিল না হতেই প্রার্থী ঘোষণার ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নাটোর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, এর মধ্যে দিয়ে জামায়াত হয়তো নির্বাচনী পরিবেশ ভালো এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এমনটি আশা করছেন। এর আগে তাদের নিবন্ধন বাতিল এবং নির্বাচনী অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা অংশগ্রহণ করেননি। তাদের নির্বাচনী কৌশল হিসেবে আগাম ঘোষণা হতে পারে। আমি মনে করি এটি একটি ভালো দিক। তবে জামায়াতের আগাম প্রার্থী ঘোষণায় অনেকের মধ্যেই আলোচনার শুরু হয়েছে। জনগণ মনে করছেন আগামী নির্বাচন হবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
Discussion about this post