স্টাফ রিপোর্টার :: গাজীপুরের টঙ্গীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও তাঁর চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের বাড়িতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল। ভাঙচুরের একপর্যায়ে অনেকেই বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে মালামাল লুট করে। পাশাপাশি কিছু জিনিসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিলের’ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা’। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ম্যুরাল ভাঙচুর, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যার পর জাহিদ আহসান ও তাঁর চাচা মতিউর রহমানের বাড়িতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান ছাত্র-জনতা। জাহিদ আহসান ও মতিউরের বাড়ি টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে আছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়ি দুটির সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন স্থানীয় কিছু ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি দুটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে মতিউর রহমানের বাড়িতে থাকা একটি পরিবারের তিন সদস্যকে বের করে দেন।
ঘটনাস্থলে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা জানান, জাহিদ আহসান ও মতিউর রহমান এলাকায় বিভন্ন মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেন। এসব কারণে তাঁদের ওপর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল তাঁদের। সেই ক্ষোভের অংশ হিসেবেই বাড়ি দুটিতে তাঁরা ভাঙচুর চালান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছি। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। বাড়ির ভেতর কিছু জিনিসে আগুন দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সেটি বড় হওয়ার আগেই নিভে যায়।’
Discussion about this post