নিজস্ব প্রতিবেদক :: জুলাই অভ্যুত্থান কেন্দ্র করে ২৫টি শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ডকুমেন্টস আকারে প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বইটির লেখক আহম্মদ ফয়েজ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ বইটিতে জুলাই অভ্যুত্থান ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্বলিত প্রথম পৃষ্ঠা তুলে ধরা হয়েছে। বইটি পড়লে অভ্যুত্থানে কোন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা ইতিবাচক বা নেতিবাচক ছিল সেটা জানা যাবে।
আদর্শ প্রকাশনার প্রধান নির্বাহী মাহবুব রাহমান বলেন, অভ্যুত্থানের সময় অধিকাংশ গণমাধ্যম সরকারের পক্ষে কাজ করেছে। মাঠে একটা ঘটনা হতো, আমরা গণমাধ্যমে ভিন্ন চিত্র দেখতে পেতাম। এতে আমাদের বিভ্রান্ত হতে হতো। মুষ্টিমেয় গণমাধ্যম যতটা সম্ভব ততটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আর সেই কাজকে সুন্দরভাবে ডকুমেন্টেশন করেছেন আহম্মদ ফয়েজ। বইটি হয়ত শত বছর পরও একটা ডকুমেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বে অনেক সাংবাদিক, পত্রিকার সম্পাদকরা সরকারের চাটুকারিতা করেছে ফলে সেসময় তারা সংবাদপত্রে তথ্য ছাপায়নি। অনেকে কম লিখেছে, কেউ প্রথম পাতায় লেখেনি আবার কেউ তথ্য গোপন করে সরকারের পক্ষে লিখেছে। কিন্তু আমরা একদল ছাত্র-জনতার মাধ্যমে রক্ত দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছি। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে কিন্তু আমরা যেন এই রক্তের ইতিহাস থেকে বিচ্যুত না হই।
বইয়ের লেখক এবং প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহম্মদ ফয়েজ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যখন পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছিলো তখন আমি দেখছিলাম গণমাধ্যমের ভূমিকা কি। তখন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা দেখে ভেবেছিলাম এটা আমাদের কাজ হতে পারে না। সেই তাগিদ থেকেই আমি গণমাধ্যমের ভূমিকাকে প্রকাশ করতে বই আকারে ছাপানোর চিন্তা করি। ভবিষ্যতে ইতিহাস আড়াল করতে যেন কেউ না পারে সেজন্য আমি এই কাজটা করি। ভবিষ্যতে ইতিহাস লেখা হলে অনেক সংবাদমাধ্যমকে মুখ লুকাতে হবে। আশা করি পাঠক অভ্যুত্থান কেন্দ্রিক গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সত্য ইতিহাস জানতে পারবে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ, কবি এবং সাংবাদিক সালাউদ্দিন শুভ্র প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post