নিজস্ব প্রতিবেদক: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাতের টানা ছয় দিনের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত বেলা ১২টা ৮ মিনিটে শুরু হয়ে ১২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৯ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, মুক্তি, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করা হয়। এ ছাড়া বিভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বনে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে কাকুতি মিনতি জানানো হয়। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আলাহুম্মামীন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীর।
ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্ব পাশের মঞ্চ থেকে লাখো মানুষের কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ। দেশের কয়েক লাখ মুসল্লি ছাড়াও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের অর্ধশতাধিক বিদেশি রাষ্ট্রের প্রায় তিন সহস্রাধিক মুসলমান। মোনাজাতে অযুত কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।
সবাই যেন কিছু সময়ের জন্য আল্লাহর প্রেমে দিওয়ানা হয়ে ভুলে গিয়েছিলেন হিংসা-বিদ্বেষ ও ভেদাভেদ। আমির-ফকির, ধনী-গরীর, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশা ও গোষ্ঠীর মানুষ পরওয়ারদেগার আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিশাল জনসমুদ্র থেকে মধ্যাহ্নের আকাশ কাপিয়ে ধ্বনি উঠে- ‘ইয়া আল্লাহ, ইয়া আল্লাহ’। আখেরি মোনাজাতের সময় মুঠোফোন, বেতার, ওয়ারলেস সেট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাধে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ এক সঙ্গে হাত তুলেছেন ক্ষমাশীল পরওয়ারদিগারের শাহী দরবারে।
সকাল থেকে দিক নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে বেলা ১২টা ৮ মিনিটে। জনসমুদ্রে নেমে আসে পিনপতন নিরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তুলেন আল্লাহর দরবারে। এ ছাড়া হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মা ও বোনেরা এ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
Discussion about this post