নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বন্দরনগর চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি জানান, এ বছর চট্টগ্রাম নগরের ২১টি খাল পরিষ্কারের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় বন্দরনগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা শহরের ভেতরে খাল-নালার দিকে নজর দেয়নি মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, পুরো অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন তারা। বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত বারইপাড়া খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এক কিলোমিটার এলাকায় আজ খালের খননকাজ ঘুরে দেখেন উপদেষ্টা।
বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এ খাল খনন সম্পন্ন হলে নগরের নাসিরাবাদ, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, শুলকবহর, বারইপাড়া ও বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে প্রথম ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর অন্তত পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এর কাজ শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরের তিন সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন প্রমুখ।
Discussion about this post