জুলফিকার আলী জুয়েল ঃ (গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম ভয়ংকর, কুখ্যাত ও সমাজ-বিরোধী অপরাধীদের মিথ্যা ষড়যন্ত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।) গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ফাঁড়িটি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ফাঁড়িটি পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মৌচাক এলাকায় চরমভাবে বিঘ্নিত হয়। এরুপ বৈরী পরিবেশে পুলিশ ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব নিয়ে, ফাঁড়িটিকে নতুন রূপে সাজান। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোদ্ধাদের নিয়ে নতুন করে তৎপর হয়ে ওঠেন অপরাধ দমনে। তাতেই স্বস্তি আসতে শুরু করে মৌচাক ফাঁড়ি এলাকার জনসাধারণের। মহিদুল ইসলামের সততা ও পরিশ্রম মৌচাক অধীনস্থ এলাকাবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ প্রশংসা করছেন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের সেবায়। কারণ পুলিশিং সেবায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম। বিশেষ করে তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এক কাতারে আনতে আপপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন সেবা গ্রহিতার সাথে কথা বললে তারা জানান, যে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ সেটির কার্যক্রম শুরু করে দেন ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম। তাছাড়াও তার অফিসে ঢুকতে কারো অনুমতি লাগে না। অফিসে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলেই ফাঁড়ি ইনচার্জ নিজ দায়িত্বে পর্যবেক্ষন করেন এবং বিভিন্নভাবে আপ্যায়ন করে থাকেন। পুলিশের এমন ব্যবহার সকল সময় থাকলে আইনসৃঙ্খলার কোন অবনতি হবে না বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেন। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে মৌচাক এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। মহিদুল ইসলামকে শক্ত হাতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখে ভয়ংকর সব অপরাধীরা, যারা খুন, ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের সাথে সহযোগিতা করতে থাকে সাংবাদিক নামধারী ভয়ংকর সব অপরাধীরা। সমাজের ঘৃণ্য, কুখ্যাত ও ভয়ংকর অপরাধীরা ফাড়ি ইনচার্জ মহিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। বিভিন্ন নাম সর্বস্ব অনলাইন পত্রিকায় কিছু সাংবাদিক নামধারী অপরাধীদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করতে থাকে। ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে এজন্য সকল পেশাজীবি, সাংবাদিক ভাই ও স্থানীয় সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব কুৎসা, প্রোপাগান্ডা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হবেন এবং আইনগতভাবে মানহানি ও ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানাবেন।
Discussion about this post