আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোরের গুরুদাসপুরে কয়েক শত মাছ চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রায় ৭ কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ লাপাত্তা হয়েছে এক পুলিশ সদস্য। টাকা ফিরে পেতে ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। নাটোরের গুরদাসপুর উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন কবির হিমু ঢাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। পাশাপাশি সে এলাকায় মাছের ব্যবসার সাথে জরিত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পুরুলিয়া বাজারে তার শাস্তি এবং আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এলাকার শতাধিক মাছ চাষী এবং ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগী মৎস্যজীবিরা জানান, গত বছর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন কবির বাঁকীতে গুরুদাসপুর,সিংড়া এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পুকুর থেকে বাঁকীতে মাছ ক্রয় করেন। সপ্তাহ শেষে বাঁকি টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে প্রতিশ্রুত বাঁকি টাকা পরিশোধ করেন নি। ভুক্তভোগী বিভিন্ন মাছ চাষী এবং মাছ ব্যবসায়ীরা তার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে এমনকি তার পরিবারের কোনো সদস্যকেও পাননি। ঢাকায় কর্মরত থাকলেও হুমায়ুন কবির হিমুকে মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়েও পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে জানানো হয়েছে গত একমাস থেকে তিনি অফিসে অনুপস্থিত আছেন। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী চাষি ও ব্যবসায়ীরা সিংড়া গুরুদাসপুর এবং বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করেও কোন ফল না পেয়ে আজকে টাকা ফেরত এবং অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
Discussion about this post