জাকির মড়ল:গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ গয়েশপুর মেধা বিকাশ একাডেমি এন্ড হাইস্কুল ক্যাম্পাস ০৩-এ জমকালো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এই উৎসবে ২০০ রকমের বাহারি পিঠা তৈরি ও প্রদর্শন করা হয়। মেধা বিকাশ একাডেমি এন্ড হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. মতিউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি ও গ্রামীণ ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। শহরের ব্যস্ত জীবনে হারিয়ে যেতে বসা বাংলার শেকড়ের স্বাদ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারের পিঠা উৎসবে ৩৬টি স্টল অংশ নেয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে প্রদর্শন ও বিক্রি করেন। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, নারিকেল সন্দেশ, তেল পিঠা, ফুলঝুরি, মোহনভোগসহ নানা ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক পিঠার সমারোহ ছিল এই উৎসবে।পিঠা উৎসবটি ঘুরে দেখেন ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল, কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাওরাইদ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফতাবউদ্দিন আতা, ০৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুলা ফকির, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নাজমুল হক কাজলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন তাদের নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়। পিঠা তৈরির পাশাপাশি তারা বিক্রিও করেছেন, যা তাদের উদ্যোক্তা মানসিকতার বিকাশে সহায়ক হবে। অনেক শিক্ষার্থী বলেন, তারা প্রথমবারের মতো নিজের হাতে পিঠা বানিয়ে আনন্দ পেয়েছেন এবং এই অভিজ্ঞতা তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।এ উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝেও ব্যাপক আনন্দের সঞ্চার হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে উৎসবস্থলে এসে পিঠার স্বাদ উপভোগ করেন। বিশেষ করে গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে শহরের ব্যস্ত জীবনে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করিয়ে দিতে এমন আয়োজন প্রশংসিত হয়।বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পিঠা উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাওরাইদ গয়েশপুর মেধা বিকাশ একাডেমির এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের সম্ভাবনা জাগিয়েছে।আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর এ ধরনের উৎসব আয়োজন করা হবে এবং নতুনত্ব আনতে আরও নান্দনিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
Discussion about this post