আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষি উদ্যোক্তা আজিম উদ্দিন কেঁচো সার তৈরি ও মাশরুম চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন।
বাণিজ্যিকভাবে এখন তার ফার্মের কেঁচো কম্পোস্ট সার ও মাশরুম বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে পরামর্শের পাশাপাশি করা হচ্ছে সার্বিক সহযোগিতা।
গুরুদাসপুর উপজেলা সদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি অনার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকায় আজিম উদ্দিনের কেঁচো সারের (ভার্মি কম্পোস্ট) খামার। তার তৈরি এ সার জমিতে ব্যবহার করে এলাকার কৃষক বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকরা তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যাপকভাবে ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছেন।
খামারনাচঁকৈড় মহল্লার কৃষি উদ্যোক্তা আজিম উদ্দিন শেখ ২০২২ সালে কৃষি অফিসের পরামর্শে তার আবাদ করা জমিতে ব্যবহারের জন্য সীমিত পরিসরে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরির উদ্যোগ নেন। বগুড়া থেকে থাইল্যান্ডের কেঁচো কিনে প্রথমে অল্প করে শুরু করেছিলেন। প্রথমে সমালোচনা হলেও তার খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার জমিতে ব্যবহারের পর ফলন ভালো পাওয়ায় আশপাশের কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হন।
তখন থেকে জৈব সারের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০২৩ সালে এসে বাণিজ্যিকভাবে তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। তার খামারে প্রতিদিন কেঁচো (ভার্মি কম্পোস্ট) সার ও টাইকো সার উৎপাদন হচ্ছে ১৭০-২০০ কেজি। প্রতি কেজি ১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে এই জৈব সার। মাস শেষে সকল খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি জৈব সার তৈরি পাশাপাশি মাশরুম চাষেও সফল হয়েছেন।
Discussion about this post