স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর কাশিমপুর ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পানিশাইল মৌজ, পলাশ হাউজিং এলাকায় সরকারি খাসের জায়গা বিক্রয় এর অভিযোগ উঠেছে, এলাকার আওয়ামী পন্থী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, পলাশ হাউজিং এর স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন ২০০২ সালে এই পলাশ হাউজিংএর নাম উপস্থাপন করা হয় ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবাহিনী দিয়ে সরকারি খাস জাগা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন, এবং ভূমি অফিসের নায়েব ও সহযোগী দেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা, এ বিষয় দখল কারীদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা জানান আমরা ১৯ বছর হলে এই জায়গা বসবাস করে আসতেছি এখন অকোটেক্স ফ্যাক্টরির মালিকের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছি। এ বিষয়ে কাশিপুর ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল লতিফের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান গত ১৫ বছর যাবত যে কয় জন নায়েব ছিল তারাই এই দখলকারীদের সাথে হাত মিলে এসব কাজগুলো করে গেছে, কাশিমপুর এক নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পানিশাইল মৌজঃখতিয়ান নং এস,এ ০১আর এস,০১ এস,এ,১১৬/২৮০নং দাগ মোট জমির পরিমাণ ১,১০একর জায়গা পুরোটাই সরকারী খাসের জায়গা। অকোটেক্স ফ্যাক্টরি কিভাবে নিয়ে যায় তিনি আরো বলেন, আমি ডিসির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এর ব্যবস্থা নিবো বলে আশ্বাস দেন এই ভূমি কর্মকর্তা । গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানা এলাকার পলাশ হাউজিং এর বাসীন্দা সোহেল রানা নামে একজন ছেলে কে ১০/১২দিন ধরে। পূর্ব পরিকল্পনা ভাবে তাঁকে হত্যা করা হয় অনুযায়ী (২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৯ তারিখে সন্ধ্যা সারে ৭টার সময়) গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার পানিশাইল পলাশ হাউজিং ৯ নং রোডের শিবলী খানের বাড়ীর পার্শ্বে নির্মাণাধীন বাউন্ডারী ওয়ালের কারখানা সামনে সামনে পূর্ব হইতে ওৎপেতে থাকা অনুমান সন্ধ্যা সারে ৭ ঘটিকার সময় বিবাদী পারভীন আক্তার তার হুকুমে পরে তার ভাই এবং দ্বিতীয় স্বামী মিনহাজুল সহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে সোহেলকে হত্যা করে পাশের ডোবার ভিতর ফেলে রাখে । পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন । এ ঘটনায় সোহেলের মা বাদী হয়ে কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় মামলা দায়ের করেন । পরে সে মামলায় পুলিশ পারভীন আক্তার সহ বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ড আবেদন করে (১৬৪/ ধারা জবানবন্দি নিয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন । পরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদীর আনীত অভিযোগ তদন্তে পেনাল কোর্ঢর ৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পারভীন আক্তার দীর্ঘ কয়েক মাস জেল হাজতে থাকার পর প্রথমে উচ্চ আদালত থেকে অস্হায়ী জামিন নেয় এবং পরে নিম্ন আদালত থেকে অস্হায়ী জামিনে থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে নানান ধরনের অপকর্ম, জমি দখল বাড়ী দখল, বাড়ী নির্মাণে বাধাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপরে হামলা মামলায় অতিস্ট হয়ে
পানিশাইল পলাশ হাউজিং এর বাসিন্দারা সহ আশে পাশের বাসিন্দারা সোহেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনি পারভিন আক্তারের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন সোহেলের পরিবার ও পুরো এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের । সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, খুনি পারভিন আক্তারের বাবা চাঁন মিয়া দীর্ঘ কয় যুগ পূর্বে তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নিজ এলাকায় খুনের ঘটনায় এলাকাবাসী চাঁন মিয়াকে এলাকা থেকে তারিয়ে দিলে গাজীপুরের কাশিমপুরে পলাশ হাউজিংএ এসে সিকিউরিটি গার্ড (নৈশপ্রহরী) চাকুরী নিয়ে পলাশ হাউজিংএ বসবাস শুরু করেন । এক পর্যায়ে তিনিও খুন হন। খুনি পারভিন আক্তারের হাত থেকে তার সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি দেশের প্রখ্যাত নারী অনুজীব বিজ্ঞানী ডঃ ফেরদৌসি, তার উপরও হামলা করেছিলোর এই পারভীন আক্তার, সেই সময় পারভীন আক্তারের হামলায় আহত করা হয়েছিলো তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। গত এপ্রিল মাসেও প্রবাল হাউজিং এ ফরিদা পারভীন সাথী নামে একজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জমি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী নারী। কদিন আগেই পলাশ হাউজিং এর বাসিন্দা একজনের নির্মাণাধীন বাড়ীর কাজ বন্ধ করার বিষয়ে সেই বাড়ীর মালিককেও পিটানোর জন্য তেরে গেলে উপস্থিত লোকজন এসে উদ্ধার করতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আপলোড করা একটি ভিডিও ক্লিপে । পলাশ হাউজিং এর বাসিন্দা মনোয়াররা খোরশেদের পরিবারকেও মিথ্যে অপহরণের মামলা দেন এই পারভিন আক্তার । এলাকাবাসী আরও বলেন, এই পারভিন আক্তারকে ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন, কিন্তু কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পরে পারভিন আক্তারের নানা ধরনের দাঙ্গা হাঙ্গামা ও অপকর্মে অতিস্ট হয়ে গত ২০১৮ সালের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। এর পর থেকে তার নিজ সন্ত্রাসী বাহিনী ও তার জমি দখল চাঁদাবাজি টিকিয়ে রাখতে কাউন্সিলর পদ হারিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সোহেলকে হত্যা করতেও দ্বিধা করেনি এই পারভিন আক্তার । সোহেল হত্যাকান্ডের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর না হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠা এইসব কারনে পারভিন আক্তার সোহেল হত্যাকান্ডের বিচার চায় এলাকাবাসী । খুনি পারভিন আক্তারের হুমকি ধামকি মামলা হামলার আশংকায় রয়েছেন অসংখ্য পরিবার এমন অভিযোগ পুরো এলাকাজুরে। যেকোনো মুহূর্তে আবারও হামলার মামলার আশংকায় আতংকে জীবন যাপন করছেন অনেক পরিবার ।
Discussion about this post