গাজীপুর প্রতিনিধিঃ আজ মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি সকালে মহানগরীর হাবিবুল্ল্যাহ সরণীস্থ গাজীপুর সাংবাদিক পরিবার কল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্পত্তির মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জয়দেবপুর থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের ডগরী মৌজার এসএ- ৪৬৫, আরএস- ৪০৮ নং খতিয়ান, দাগ নং- ১১৫৪ ও ৩৯৪৫-এ ৫৩ শতাংশ জমির মালিক ও ভোগদখল কারী আমি। যাহা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, গাজীপুর এ প্রতিপক্ষ খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া বাদী হয়ে পিটিশন মোকদ্দমা নং-৭১/২০২২ দায়ের করেছিলেন। তাহার দায়ের করা মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত সরেজমিনে প্রতিবেদনের জন্য সদর এসিল্যান্ড অফিসে পত্র প্রেরন করেন।
উক্ত বিষয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্বারক নং-মির্জা/ইউ/ভূ/অ/২০২৩-৩৪৩,তাং-১১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজীপুর সদর,গাজীপুর বরাবর জমি দখল বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তিতে যার স্বারক নং-৩১.৪১.৩৩৩০.০০.৯৯.০০১.২৩-১৮৮৬, তাং-২১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ উপজেলা ভূমি অফিস গাজীপুর সদর তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন। ২৩/০৭/২০২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত প্রথম পক্ষ খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া বার বার সময় প্রার্থী গর হাজির হন। এতে মোকদ্দমা পরিচালনায় ১ম পক্ষের অনাগ্রহ প্রতীয়মান হয়। তাছাড়া দখলীয় প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় নালিশী ভূমিতে উভয় পক্ষই দখলে রয়েছেন।
সারবিক বিবেচনায় মামলা (নথিজাত) মোকদ্দমাটি খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। স্থানীয় ভূমি অফিস এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নালিশী জমির ০.৭০ একর জমির মধ্যে ০.৫৩ একর জমিতে ২য় পক্ষ নজরুল ইসলাম (মোঃ আমির হোসেন গাজীর পক্ষে নিযুক্তীয় আম-মোক্তার) সেখানে মোঃ নজরুল ইসলামের দোকান ও ঘর বাড়ী এবং জমিতে বাউন্ডারী নির্মান করে ভোগ দখলে রয়েছেন।
অপরদিকে নালিশী সম্পত্তিতে খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া ০.১৭ একর জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন। তরপরেও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে পুরো জমি আত্মসাত করার লক্ষে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।
সম্প্রতি দুটি পত্রিকায়, রেকর্ডপত্র নষ্ট হওয়ার সুযোগে জাল দলিল তৈরী করেছে প্রতারক চক্র ও বিধবার ২ কোটি টাকা মূল্যের জমিদখল চেষ্টার অভিযোগ, পৃথক পৃথক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটিতে আমার সম্পত্তি জরিয়ে মনগড়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
Discussion about this post