স্টাফ রিপোর্টার: শিল্প এলাকা কোনাবাড়ি। রয়েছে বেশ কিছু মার্কেটসহ বড় বড় বিপনি বিতান। অন্যদিকে মাকের্টের আশপাশে অভিজাত হোটেল-রেস্তোরা। এর উপরেই অবস্থিত নিউ মুন আবাসিক হোটেল। যার মালিক মুরগী ব্যপারীখ্যাত স্বপন মিয়া। যার হোটেলে রাত হলেই শুরু হয় মধুচন্দ্রীমা। বাইরে সাইনবোর্ডে ফ্রেশ লেখা থাকলেও ভেতরে যেন এক অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য। মাদক সেবন ও বিক্রিসহ হেন কোনো অসামাজিক কাজ নেই যে নিউ মুন আবাসিক হোটেলে হয় না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ধ্যার পর পরই হোটেলের ভিতর চিহ্নিত অস্ত্রধারী, একাধিক মামলার আসামীসহ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আনাগোনা। যা চোখে পড়ার মতো। আরেকটু গভীর রাত হলেই বসে জুয়ার আসর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোনাবাড়ির এক ব্যবসায়ী জানান, শুধু নিউ মুন আবাসিক হোটেলই নয় সানরাইজ, হ্যাভেন আবাসিক হোটেলেও চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসলে যদি ঘুমানোর জায়গার অভাব হলে চিন্তা পড়ে আবাসিক হোটেলে গেলে উল্টো আরো লজ্জায় পড়তে হয়। তিনি বলেন, এখানে রাত্রিতে মানুষ রাখা যায় না, পরিবেশ নেই। শুধু বানানো স্ত্রী নিয়ে এখানে এসে (৪০-৫০) মিনিট আনন্দ ফুর্তি করা জায়গা। বেশিরভাগ স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। শুধু স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ই ক্ষান্ত নয়, এখানে মাদক সেবনও হয়।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি পুলিশ আবাসিক হোটেল সমূহে পতিতাবৃত্তি, মাদক, জুয়ার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের বাণিজ্য শাখা হোটেল গুলোতে এ ধরনের অভিযোগ পেলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ও হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু এসব নিয়মের কোন কর্ণপাত করেন না স্বপন মিয়া।
জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স শাখা থেকে জানা যায়, আবাসিক হোটেলে বিবাহিত দম্পতি ছাড়া হোটেলকক্ষ ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নির্দেশনা ও অবিবাহিত কেউ কক্ষ ভাড়া করলে তাদের সম্পর্কে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে। অথচ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোনাবাড়ি হোটেল নিউ মুন ও রংধনু আবাসিক হোটেলে চলছে পতিতাবৃত্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পতিতালয় তৈরির মুলহোতা মুরগী স্বপন ফ্রেশ হোটেল ব্যবসার আড়ালে নানান বয়সী নারী এনে টাকার বিনিময়ে যুবকদের অসামাজিক কাজ করার সুযোগ করে দেয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার হোটেল অভিযান চালিয়ে খদ্দেরসহ তরুনীদের আটক করে পুলিশ। এরপরও থেমে নেই তাদের মুরগী স্বপনের অসামাজিক কার্যকলাপ। পুলিশের নিয়মিত অভিযানেও বন্ধ হয়নি মুরগী স্বপনের পতিতাবৃত্তি। গুঞ্জন রয়েছে জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারী মামলার আসামীদের মোটা অংকের অর্থের বিনিমিয়ে আশ্রয় দেন মুরগী স্বপন। আবাসিক মুন ও রংধনু গেস্ট হাউজের মালিক মুরগি ব্যাপারী স্বপন মিয়া জানান, স্টাফসহ বিভিন্ন মহলের লোকজনরা এখানে আসেন কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে চলে যান। আবার কারো স্ত্রী নিয়ে আসেন।
Discussion about this post